তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাগণ নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য তাদের ভূমিকা প্রশংসার যোগ্য। এর পাশাপাশি রাজ্যে দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বুথ-স্তরের কার্যক্রমগুলির উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে পার্টির কার্যকর্তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের অবদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ২০১৯ সালে বুথ ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলাম এবং পরে মেম্বারশিপ ড্রাইভের দায়িত্ব পালন করেছি। তারপর থেকে রাজ্যে আমাদের সদস্য সংখ্যা ৬ লক্ষেরও অধিক বেড়েছে। দলগত কাজে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন বিভাজন ছাড়া ঐক্য। আমি বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের সভাপতি, রাজ্যসভার সাংসদ এবং এখন দুই মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছি। আর এই দায়দায়িত্ব পরিবর্তিত হতে পারে এবং অন্য কেউ দায়িত্বে আসতে পারেন। তাই পদের প্রতি মোহ না রেখে আমাদের সবসময় দলকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে। জনসাধারণের কল্যাণে দল যে দায়িত্ব দেবে সেটা পালন করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কারণ সেই বাংলা, ইন্ডিয়া জোটের ভারসাম্য রক্ষাই চ্যালেঞ্জ সিপিএমের!
আরও পড়ুন: বরফ গলে ৪৬ হাজার বছরের মৃত্যুদূত জাগছে সাইবেরিয়ায়, ঘুম ভাঙলেই ভয়ঙ্কর দিন দেখবে পৃথিবী
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, মানুষের সমস্যা নিরসনের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের অবশ্যই মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের বিভিন্ন সমস্যার সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মানুষের পাশে থাকতে সবসময় গুরুত্ব দেন। যে বাড়িতে কেউ সমস্যার সম্মুখীন হন তখন বুথ নেতা বা পৃষ্ঠাপ্রমুখদের অবশ্যই তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা করতে হবে, কথা বলতে হবে। আর এই মাধ্যম শুধু দলকে উপকৃত করবে না, এতে দুই পক্ষের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। আমাদের স্লোগানই হচ্ছে ‘সেবাই সংগঠন’ এবং একে বাস্তবায়িত করতে হলে আমাদের অবশ্যই তৃণমূল স্তরে ফোকাস করতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে বুথ নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এমনিতেই ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা সেবার অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করেন। এভাবে সংগঠন সময়ের সঙ্গে আরো শক্তিশালী হচ্ছে।