এছাড়াও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে দুটি দল মিলিয়ে অন্তত দুই লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে ।
আরও পড়ুন: অল্পেশ ঠাকুর, জিগনেশ মেওয়ানি এবং হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
শাসকদল বিজেপি প্রায় ৭০,০০০ জন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছে ও তৈরি হয়েছে তাদের বিশেষ দল যার নাম 'সাইবার যোদ্ধা'। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও । প্রায় একই সংখ্যক বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত হয়েছে 'রাজীব কি সিপাই' । শুধুমাত্র ভোটবুথে নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইটা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই করতে চলেছে বিজেপি ও কংগ্রেস । এই বিশেষজ্ঞদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণও দেবে দুই দল ।
advertisement
কর্মকর্তাদের মতে, তাঁদের প্রধান কাজ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে তাদের দল সহ, স্থানীয় নেতা ও জাতীয় নেতাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। তাঁরা দলগুলোর ঘোষণাপত্র প্রচার করতেও সহায়তা করবে। বিরোধী দলের ব্যর্থতার কথা প্রচার করে নিজেদের দলের সাফল্যের কথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে এদের কাজ ।
মধ্যপ্রদেশে বুথের সংখ্যা প্রায় ৬৫,০০০। প্রত্যেকটি বুথের নামেই চালু হবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ । মধ্যপ্রদেশের সাতকোটি ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন । হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োগে কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস । বিজেপির লক্ষ্য প্রায় ৪০-৪৫ শতাংশ ভোটার ।
বিজেপি মধ্যপ্রদেশ শাখার কন্টেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির মুখ্য আধিকারিক শিবরাজ সিংহ দাবি জানিয়েছেন, ফেসবুক অপেক্ষা হোয়াটসঅ্যাপ অনেক দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করে, তাই হোয়াটসঅ্যাপকেই প্রচারমাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা । আবার মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে অভয় তিওয়ারি জানিয়েছেন, তাঁদের দল ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ দুটি মাধ্যমকেই সমানভাবে ব্যবহার করবে ।
আরও পড়ুন: অপরাধ মোকাবিলায় এবার উত্তর-প্রদেশ পুলিশের সাহায্য করবে ইসরো
৩০ আগস্ট থেকে 'স্বাধীন সিরিজ ক্যাম্পেন' এর মাধ্যমে ভূয়ো খবরের বিরুদ্ধে প্রচারকার্যে নামবে কংগ্রেস । এছাড়া সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধেও প্রচার চালাবে কংগ্রেস ।
Report: Kashif Kakvi