এখানেই থামেননি বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, ''বাংলার দিকে-দিকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চলছে। ইতিমধ্যে বিজেপি-র ৫৭ জন খুন হয়েছেন। তা সত্ত্বেও আমরা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছি।'' এমনকী পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আত্মসমীক্ষার বদলে তৃণমূলকে শুধু নিশানা করে যে খুব একটা সুফল পাবে না বিজেপি, তা পরপর উপনির্বাচনের ফলেই স্পষ্ট। তা সত্ত্বেও দলের অন্দরে সে অর্থে কোনও কাটাছেঁড়াই করা হচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: কার ক্ষমতা বাড়ছে-কার ডানা ছাঁটা হচ্ছে, রবিবারের দিকে তাকিয়ে বঙ্গ BJP নেতারা
যদিও সামনের দিনের বিধানসভা ভোটের দিকে নজর রেখেই বিজেপি কর্মসমিতির বৈঠকে 'হর ঘর দস্তক' কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
করোনা প্রতিষেধক হয়েছে কিনা, তা জানতে বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিজেপি কর্মীরা। ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই 'হর ঘর দস্তক' কর্মসূচি বড় পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: তাহলে কি দল ছাড়ছেন? দিলীপ ঘোষকে পাল্টা প্রত্যাঘাত তথাগত রায়ের! লিখলেন, 'যতক্ষণ না...'
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের মাঝে ৫ রাজ্যে দলের প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ সভা হয়। ৫ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ভার্চুয়ালি ওই বিশেষ সভায় যোগ দেন। যোগী আদিত্যনাথ-সহ বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে। বৈঠকে রয়েছেন লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশীও। নিজেদের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। করোনার কারণে দেড় বছর পর এই বৈঠক হচ্ছে।
বস্তুত করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের সাফল্য, ১০০ কোটির বেশি মানুষের ভ্যাক্সিনেশন, মাস্ক, পিপিই কিট, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানো এবং প্রতি মাসে ৮০ কোটি মানুষের বিনামূল্যে রেশনের যে বন্দোবস্ত করেছে মোদি সরকার, সেই বিষয়গুলি আরও বড় করে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: জয়-হীন হতেই BJP-র অন্দরের 'রহস্য ফাঁস' রাহুল সিনহার! নিশানায় কে, শুরু প্রবল জল্পনা
এদিনের বৈঠকে রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ''এবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।'' বৈঠকে উঠে এসেছে সিএএ (CAA) প্রসঙ্গও। দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, ''CAA কোনও একটি দলের বা তুচ্ছ রাজনীতির বিষয় নয়। এটি জাতীয় সুরক্ষার বিষয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে বিজেপি। আগামী ছ'মাসে বুথ কমিটি, পৃষ্ঠা প্রমুখ এবং 'মন কি বাত' শোনার ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিকাঠামো মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। দলের বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণে দ্রুত এগোচ্ছে বিজেপি। তেলেঙ্গানায় বিজেপি ক্ষমতায় আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।