আরও পড়ুনঃ আসতে ভয় পান সকলে! সেই শ্মশানে সন্তানদের নিয়ে সংসার পতে সবার ‘রোল মডেল’ এই মা
আসিফবাদ জেলার বাবাপুর গ্রামের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শচীন ১৮ মে তার জন্মদিন উপলক্ষে আসিফবাদ শহরে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন যখন তিনি বুকে ব্যথার কথা বলেন এবং রাস্তায় বসে পড়েন। সেখান থেকে তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মানচেরিয়াল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শচীনের মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৪৫ বছরের ছেলের দেখাশোনা করতে নারাজ মা, বদলে বাবা-ছেলের কাণ্ড জানলে গা শিউরে উঠবে!
জন্মদিন উদযাপন করতে বন্ধু, পরিবার এবং প্রতিবেশীরা জড়ো হয়েছিল তার বাড়িতে। শচীনের পরিবার তার বড় করে জন্মদিন উদযাপনের পরিকল্পনা করেছিল। এবং একটি শচীনের পচ্ছন্দ মত কেক কিনে আনা হয়েছিল। কিন্তু জন্মদিনের দিন যে এরকম চরম পরিস্থিতি হবে ভাবেনি কেউ। তার ছবি ফ্লেক্সি আকারে ছাপিয়ে বাড়ির চারপাশে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানে কিশোরের বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন।
শচীনের মরদেহ গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আশা হল শেষবারের মত তার জন্মদিন পালন করা হয়। শোকাহত পরিবারের সদস্যরা তার জন্মদিনের কেক কাটেন এমনকী তার বন্ধুরা জন্মদিনের গান করে। তার শোকার্ত বাবা-মা গুণবন্ত রাও এবং ললিতা – প্রতিবেশী, শিশু এবং আত্মীয়দের ডেকে আনেন এবং নিজদের সন্তানের হাত ধরে তারা ১৯ মে মধ্যরাতে কেক কাটেন।