একজন মাটন ব্যবসায়ী বলেছেন, “বার্ড ফ্লু কারণে বাজারে মাটনের চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বিয়ের মৌসুমে এই চাহিদা আরও বাড়ছে, ফলে মাটনের দাম ১,২০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।”
করিমনগরের এক মাটনের দোকান আগে প্রতিদিন ৩০০ কেজি মাটন বিক্রি করত, কিন্তু বার্ড ফ্লুর পর এই সংখ্যা বেড়ে ৫০০ কেজি হয়েছে।
advertisement
মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী গোদাবরী অঞ্চলে মাটনের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ১,০০০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। একইভাবে, মাছের বাজারেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক মাছ ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দাম প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কাকিনাড়ার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, “আমরা শুধু মধ্যস্থতাকারী, বড় ব্যবসায়ীরাই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দাম বাড়াচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: নেশার ঘোরে প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে চড়াও ‘রাহুল’! গালিগালাজের পর জ্বালিয়ে দিল বাইক, গাড়িও…
হায়দরাবাদের মুশিরাবাদ মাছ বাজারে রবিবার ৬০ টন মাছ বিক্রি হয়েছে, যেখানে সাধারণত ৪০ টন মাছ বিক্রি হয়। এই অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মাছের দামও বেড়ে গেছে। জনপ্রিয় রাভা ও বোচা মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়েছে।
বিশাখাপত্তনমে ভেঞ্জারাম ও কনাম মাছের দাম ৩০০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। অ্যাপোলো মাছের দাম ২৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। বোচা মাছের দামও ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে।
মুরগির বাজারে ধস, বিনামূল্যে চিকেন ফেয়ার – মুরগির বাজার চাঙা করতে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের পোলট্রি কোম্পানিগুলি ফ্রি চিকেন ফেয়ারের আয়োজন করছে। বার্ড ফ্লুর পর মুরগির দাম ২৫০ টাকা থেকে কমে ১০০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে।
রাজান্না সিরসিল্লা জেলায় বিনামূল্যে চিকেন ফেয়ার আয়োজন করেছে ভেঙ্কব চিকেন কোম্পানি। তাদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, \”আমরা মানুষের ভুল ধারণা দূর করতে চাই। চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছেন, বার্ড ফ্লু মুরগির মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়ায় না।\”
পোলট্রি কোম্পানিগুলোর আশা, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুরগি ও ডিমের চাহিদা আবার স্বাভাবিক হবে।