দুর্নীতির এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের শহদলে৷ সেখানে একটি সরকারি স্কুলে সংস্কার কাজের পর এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ ওই কাজের বরাত যে ঠিকাদার সংস্থা পেয়েছিল, তাদের তৈরি করা বিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ সেই সূত্রেই এই দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, এই স্কুলটি মধ্যপ্রদেশের সাকন্ডি গ্রামে৷ সুধাকর কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থা ওই কাজের বরাত পেয়েছিল৷ কাজের ফিরিস্তি দিয়ে ওই সংস্থা যে বিল জমা দিয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে একটি দেওয়ালে চার লিটার রং করার জন্য ৬৫ জন মিস্ত্রি এবং ১৬৮ জন শ্রমিক বা সহকারীকে কাজে লাগানো হয়েছিল৷
advertisement
মধ্যপ্রদেশের নিপানিয়া গ্রামের একটি স্কুলেও একই ধরনের আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে৷ ওই স্কুলটিরও সংস্কার কাজের বরাত পেয়েছিল সুধাকর কনস্ট্রাকশন নামে ওই একই সংস্থা৷ সেখানে কুড়ি লিটার রং লাগানো, চারটি দরজা ও দশটি জানলা বসানোর খরচ বাবদ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিল জমা দেয় ওই সংস্থা৷
দ্বিতীয় স্কুলটির এই বিলের ক্ষেত্রে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে৷ দেখা যাচ্ছে, ঠিকাদার সংস্থাটি ওই বিল তৈরি করেছে গত ৫ মে৷ অথচ নিপানিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই বিলে অনুমোদন করে সই করেছেন ৪ এপ্রিল তারিখে৷
ওই ঠিকাদার সংস্থার দাবি অনুযায়ী, দ্বিতীয় স্কুলটির ক্ষেত্রে কাজের জন্য ১৫০ জন মিস্ত্রি এবং ২৭৫ জন শ্রমিককে ভাড়া করা হয়েছিল৷ যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুটি মিলিয়েও অতজন মিস্ত্রি এবং শ্রমিক পাওয়াই সম্ভব নয়৷
জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ফুল সিং মারপাছি জানিয়েছেন, ভাইরাল হওয়া এই দুটি বিলে দেখানো খরচ আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত এবং যথাযথ কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷