TRENDING:

১১ ধর্ষকের মুক্তির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে বিলকিস বানো

Last Updated:

সূত্রের খবর, বুধবার বিলকিস বানোর আইনজীবী এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রিট পিটিশন জমা দেন। বিলকিসের ধর্ষকদের আগাম মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গত মে মাসে গুজরাত সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করারও আর্জি জানানো হয়েছে বিলকিসের তরফে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: এগারো জন গণধর্ষকের মুক্তির নির্দেশের বিরোধিতা করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো। ২০০২ সালে গুজরাত হিংসার সময় বিলকিসের পরিবারের সদস্যদের হত্যা এবং বিলকিসকে ধর্ষণ করার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা কাটছিলেন ওই ১১ জন। গত ১৫ অগাস্ট তাঁদের মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার।
advertisement

সূত্রের খবর, বুধবার বিলকিস বানোর আইনজীবী এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রিট পিটিশন জমা দেন। বিলকিসের ধর্ষকদের আগাম মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গত মে মাসে গুজরাত সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করারও আর্জি জানানো হয়েছে বিলকিসের তরফে।

আরও পড়ুন: 'চাটাই' অস্ত্রেই বাজিমাত করতে চায় তৃণমূল, নন্দীগ্রামের জন্য 'সুপারহিট' পরিকল্পনা

advertisement

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে  তালিকাভুক্ত ছিল এই দুই আবেদন। দিনের শেষে বিলকিসের আইনজীবী জানান, বিচারপতি তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, তাঁদের আবেদন দুটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে এবং দেখা হবে, যাতে একই বেঞ্চে দুই আবেদনের শুনানি হয়।

চলতি বছরের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত ওই ১১ জনকে ক্ষমা প্রদর্শন করে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। গুজরাতের গোধরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই ওই অপরাধীদের ফুলের মালা পরিয়ে কপালে তিলক কেটে মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়।

advertisement

আরও পড়ুন:ঘর খুলতেই মেঝেতে মেয়ের দেহ, বিছানায় জামাইয়ের! পাশে পড়ে পোড়া কাঠকয়লা, কিন্তু কেন?

এই এগারো জনের সাজা মকুব করার সপক্ষে শীর্ষ আদালতে গুজরাত সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, তারা জেলে ‘ভাল আচরণ’ করত। সুপ্রিম কোর্টে গুজরাত সরকারের কৌঁসুলি হলফনামা দিয়ে জানান, দোষী সাব্যস্ত হওয়া এগারো জন চোদ্দ বছর জেল খেটেছেন। তা ছাড়া, জেলের ভিতর তাঁরা ভাল ব্যবহার করতেন। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি সাফাই সত্ত্বেও ১১ ধর্ষকের সাজা মকুব করার ঘটনার নিন্দায় সরব হন ভারতের বহু মানুষ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাতে গোধরা পরবর্তী হিংসার পর্ব চলাকালীন বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করেছিল ওই ১১ জন। সেই সময়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বিলকিস। এছাড়াও, তাঁর চোখের সামনে তাঁর মেয়ে-সহ পরিবারের ৭ সদস্যকে খুন করা হয়েছিল।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
১১ ধর্ষকের মুক্তির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে বিলকিস বানো
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল