আরও পড়ুন– বাতাসে শীতের আমেজ, নামতে পারে তাপমাত্রাও ! রাজ্যে দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকলে লক্ষ্য করবেন। প্ল্যাটফর্মের শেষ মাথায় দেখবেন সিগনাল। ওই সিগনালটিকে বলে স্টার্টার সিগনাল। ওটি সবুজ হল মানে, লোকো পাইলট ট্রেন ছাড়ার অনুমতি পেলেন। এই সিগনাল ছাড়িয়ে কিলোমিটার খানেক দূরে থাকে আরও একটি সিগনাল। একে বলে, অ্যাডভান্সড স্টার্টার সিগনাল। এই সিগনালও সবুজ মানে, ট্রেনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর সামনের স্টেশনে ঢোকার আগে পেরোতে হবে আরও দুটি সিগনাল। প্রথমটি ডিস্ট্যান্ট সিগনাল আর পরেরটি হোম সিগনাল। ডিস্ট্যান্ট সিগনাল হল পরের স্টেশনের এলাকায় ঢোকার ছাড়পত্র। আর হোম সিগনাল হল, ঘরে মানে প্ল্যাটফর্মে ঢোকার দরজা। প্রথম সিগনাল সবুজ মানে পরের সিগনালও সবুজ। অর্থাৎ লাইন ক্লিয়ার। স্টেশনে ঢুকে পড়ো। তারপর দাঁড়াও বা থ্রু ট্রেন হলে হুশ করে বেরিয়ে যাও। কিন্তু ডিস্ট্যান্ট সিগনাল লাল মানে, থামো। স্টেশনে ঢোকার অনুমতি নেই। ডিস্ট্যান্ট সিগনাল হলুদ মানে হল, ড্রাইভার সাহেব, ব্রেক লাগান, কারণ, হোম সিগনাল লাল আছে। মানে, স্টেশনে ঢোকা বারণ। এক্ষেত্রেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত মেমু ট্রেনের চালক সামনে সিগন্যাল সবুজ পেয়েই কি তাঁরা ভেবেছিলেন, সব ঠিক আছে ? এমনকী, গতিও বাড়িয়েছিলেন ? তারপরেই কি বাঁক ঘুরে দেখেন সামনে দাঁড়িয়ে আছে মালগাড়ি? এই সবই প্রশ্ন উঠে আসছে ৷
advertisement
আরও পড়ুন– ১০০ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র, ছেলেকে আবেগঘন শুভেচ্ছা পরিচালক মীরা নায়ারের
কিন্তু সিগনাল লাল থাকলে, দুই ড্রাইভারের আচরণ বড়ই অস্বাভাবিক। তাহলে কী তাঁরা অসুস্থ ছিলেন ? মত্ত ছিলেন ? ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ? উত্তর দিতে পারতেন তাঁরাই। কিন্তু দুর্ঘটনায় মেমু ট্রেনের দুই চালকেরই মৃত্য হয়েছে। তবে রেল যেভাবে প্রথম দিনেই ট্রেন চালকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ। তবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর রিপোর্টই চূড়ান্ত ধরা হবে।
