দ্বারভাঙা জেলার সিংহওয়াড়া থানার নিস্তা গ্রামের ওই বাসিন্দা ইফতিকারের স্ত্রীর নাম মুন্নী খাতুন। কাজের সূত্রে মাশুক থাকতেন মুম্বইয়ে। তাঁর বাবা, স্ত্রী, সন্তান ও মা থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন ওই পরিবারে শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তার খবর নিয়মিত ফোনে পৌঁছত ইফতিকারের কাছে। লাগাতার একই কথা শুনতে শুনতে তিনি তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাগদানের পরও পঞ্চম বিয়ে করছেন না ৯২ বছর বয়সি রুপার্ট মার্ডক? বিয়ে বাতিলের কারণ নিয়ে চলছে জল্পনা
সম্প্রতি মুম্বই থেকে গ্রামে এসে পৌঁছন ইফতিকার। সে সময় বাড়িতে তাঁর মা ছিলেন না। তিনি কাজ করছিলেন গ্রামের ক্ষেতে। তিনি গমক্ষেতের কাজ করছিলেন। মাকে দেখে নিজের রাগ সংবরণ করতে পারেননি ইফতিকার। অভিযোগ, মুরগি কাটার ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন মাকে। আঘাতের অভিঘাতে মাঠেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তাঁর মা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত যুবকের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলে নেশাগ্রস্ত৷ তাঁর অভিযোগ, সংসারের জন্য কোনও টাকা পাঠান না তাঁর ছেলে৷ এমনকি স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্বও তিনি নেন না বলেই অভিযোগ৷ স্ত্রীর ইন্ধনে মাথাগরম করেই তাঁর ছেলে নিজের মাকে ধারাল অস্ত্রের কোপে খুন করেছেন বলে অভিযোগ ইফতিকারের বাবার৷