ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, থানার ভিতরে কর্মরত এক মহিলা পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন থানার প্রধান৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, আমনৌরের থানার প্রধানের বিরুদ্ধে মহিলা পুলিশকর্মী থানার ভিতরে অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীর সঙ্গে থানার প্রধানের এই আচরণের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় ২৫ লক্ষ প্রদীপের নতুন বিশ্ব রেকর্ড! মহাআরতি করবেন যোগীসহ ১১০০ বৈদিক পণ্ডিত
advertisement
এদিকে মহিলা পুলিশকর্মীর অভিযোগের পর, সারান জেলার এসপি কুমার আশীষ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন৷ তিনি এক মহিলা ডিএসপির মাধ্যমে তদন্ত করান। থানায় পাওয়া সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে থানার প্রধানকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে দেও? চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর পুলিশের ইমেজ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে প্রেম, পালিয়ে বিয়ে! এই লাভ বার্ডসের কাহিনি হার মানাবে সিনেমাকেও
যদিও এই বিষয়টিতে পুলিশকর্মীরা কিছুই বলতে চাইছেন না, কিন্তু এসপি-এর প্রেস বিবৃতির অনুযায়ী, এই ঘটনার জন্য অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং সুপারিশের ভিত্তিতে অনৈতিকতা, কর্তব্যহীনতা এবং পুলিশের ইমেজ নষ্ট করার অভিযোগে আমনৌর থানার প্রধান মোহাম্মদ জাফরুদ্দিনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করে লাইনে হাজির করা হয়েছে। একই সঙ্গে, বিভাগীয় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্পষ্টীকরণের দাবি করা হয়েছে।
পূর্বেও অভিযোগ ছিল
বলা হচ্ছে, মোহাম্মদ জাফিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তবে, এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা পুলিশ বিভাগের উপর প্রশ্ন তুলেছে। মহিলা পুলিশকর্মী এই ঘটনার অভিযোগ গোপনভাবে এসপি-এর কাছে জানান। এসপি পুরো ঘটনাটির তদন্ত করান। ট্রাফিক ডিএসপি বাসন্তী টুডু এই ঘটনার তদন্ত করেন এবং তদন্তে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে এসপি-কে রিপোর্ট দেন, যার পর এসপি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।