এই খবর গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে বিহারের বাসিন্দা পিন্টু সিংকে। পেশায় পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার পিন্টু থাকেন বিহারের বক্সারে চৌগাই গ্রামে। এই যুবকের আশঙ্কা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের অলোক মৌর্যর মতো অভিজ্ঞতা তাঁরও হয়েছে। তাই তিনি স্ত্রীর পড়াশানো সমর্থন করতে চাইছেন না। তাঁর স্ত্রী খুশবু কুমারী এখন বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর পাশে এ বার দাঁড়াতে নারাজ স্বামী পিন্টু। এই মর্মে মুরার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন খুশবু।
advertisement
সংবাদমাধ্যমে খুশবু জানিয়েছেন স্বামী এ বার তাঁকে লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে বলছেন। কারণ পিন্টুর আশঙ্কা, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়ে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন স্ত্রী খুশবু। এর আগেও বিপিএসসি পরীক্ষায় তিনি বসেছেন। কিন্তু মাত্র ৭-৮ নম্বরের জন্য পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে তিনি হাল ছাড়তে নারাজ। ইউটিউব দেখে ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার বই পড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রথমদিকে তাঁর পাশে ছিলেন স্বামী। কিন্তু এখন নাকি তিনি স্ত্রীকে বলছেন সরকারি চাকরি করার ইচ্ছে ত্যাগ করতে।
আরও পড়ুন : নীল জলে শুশুক? ৫ সেকেন্ডে দুটো পাখি খুঁজে বের করলেই আপনি জিনিয়াস!
তাঁর মনের এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পিন্টু নিজেও। জানিয়েছেন অলোকের জীবনে যা হয়েছে, তা জানার পর তিনি সরে এসেছেন স্ত্রীর সরকারি চাকরি করার স্বপ্নপূরণের পথ থেকে। ২০১০ সালে বিয়ে হয় পিন্টু এবং খুশবুর। তার পর থেকেই খুশবুর পড়াশোনার পাশে ছিলেন পিন্টু। কিন্তু কেন তিনি বিশ্বাস করছেন না স্ত্রীকে, এই প্রশ্নের উত্তরে পিন্টু জানিয়েছেন পুরুষের ভাগ্য এবং নারীর চরিত্র কখনওই আগে থেকে অনুমান করা যায় না।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বোঝাচ্ছেন পিন্টুকে। কিন্তু এখনও মন পরিবর্তনের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি তাঁর চিন্তাভাবনায়।