পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে শেষ পর্যন্ত দিনের আলো ফোটার পর এক কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কের খোঁজ পান গাড়ির যাত্রীরা৷ শেষ এমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সাহায্যে পরিবারটিকে গাড়ি সমেত জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার করে৷
কিছু দিন আগেই বিহারে গুগল ম্যাপস-এর ভরসায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অসম্পূর্ণ সেতু থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন যাত্রীর৷ তার পরে এই ঘটনা গুগল ম্যাপস পথ চেনাতে কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: ইউনূসের সামনেই নির্যাতনের প্রতিবাদ, সরব বিখ্যাত কবি ফরহাদ মজহার! মুখ পুড়ল বাংলাদেশের
পুলিশ জানিয়েছে, গোয়া যেতে গিয়ে কর্ণাটকের বেলগাভি জেলার ভিমগড়ের জঙ্গলে পৌঁছে যায় রঞ্জিৎ দাস নামে ওই ব্যক্তির পরিবার৷ রাতের অন্ধকারে গভীর জঙ্গলে ঢুকে পথ হারিয়ে ফেলে তারা৷ মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ না করায় কার্যত অসহায় অবস্থায় সারারাত গাড়ির ভিতরেই বসে থাকেন যাত্রীরা৷
গত ৪ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে৷ এন়ডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্ণাটকের শিরোলি এবং হেম্মাদাগা এলাকা হয়ে গোয়ার দিকে এগনোর পথ দেখায় গুগল ম্যাপস৷ সেই পথ অনুসরণ করে ভিমগড়ের জঙ্গলের ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার গভীরে পৌঁছে যায় ওই পরিবারটি৷ সারা রাত গাড়িতে বসে থাকার পর রঞ্জিৎ দাস নামে ওই ব্যক্তি প্রায় চার কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক পান৷ এর পর এমার্জেন্সি নম্বর ১১২-তে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান তিনি৷
পুলিশই জানিয়েছে, জঙ্গলের যে অংশে পরিবারটি আটকে পড়ে সেখানে হিংস্র জন্তু জানোয়ারও রয়েছে৷ কয়েকদিন আগে ওই জায়গাতেই হিংস্র জন্তুর আক্রমণে গুরুতর আহত হন এক কৃষক৷