দুই দফার ভোটগ্রহণের সারসংক্ষেপ
- প্রথম দফা (৬ নভেম্বর): মোট ১২১টি আসনে ভোট।
- দ্বিতীয় দফা (১১ নভেম্বর): বাকি ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ।
দুই দফাতেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য, তবে কমিশনের হিসাবে প্রথম দফায় রেকর্ড ভোট পড়েছে। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ এবারও পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে।
advertisement
নারী বনাম পুরুষ ভোটদানের হার
প্রথম দফা ভোট:
- নারী: ৬৯.০৪%
- পুরুষ: ৬১.৫৬%
- মোট: ৬৫.০৮%
দ্বিতীয় দফা ভোট:
- নারী: ৭৪.০৩%
- পুরুষ: ৬৪.১০%
- মোট: ৬৮.৭৬%
সামগ্রিক ভোটদানের হার:
- নারী: ৭১.৬০%
- পুরুষ: ৬২.৮০%
- গড় মোট: ৬৬.৯১%
অর্থাৎ, নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৮.৮ শতাংশ বেশি।
নারী ভোটের উত্থান: রাজনীতির নতুন সমীকরণ
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিহারে নারী ভোটারদের আগ্রহ আগের সব নির্বাচনের তুলনায় বেশি।
গ্রামীণ অঞ্চল থেকে শহরাঞ্চল পর্যন্ত সর্বত্রই দেখা গেছে মহিলাদের দীর্ঘ সারি।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্যোগগুলি নারী ভোটারদের রাজনৈতিকভাবে আরও সক্রিয় করে তুলেছে।
এবারের নির্বাচনে
- এনডিএ জোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে:
- মহাগঠবন্ধনের হয়ে লড়েছে:
বিজেপি (১০১ আসন), জেডিইউ (১০১), চিরাগ পাসওয়ানের এসজেপি (২৮), এইচএএম (৬) ও আরএলপি (৬)।
আরজেডি (১৪৩ আসন), কংগ্রেস (৬১), সিপিআইএমএল (২০) ও অন্যান্য দল (৩১)।
দুই শিবিরই উচ্চ ভোটদানের হার দেখে আত্মবিশ্বাসী। এখন নজর বুথ ফেরত সমীক্ষা ও ১৪ নভেম্বরের গণনার দিকে।
১৪ নভেম্বর: ফলাফলের দিন
শুক্রবার সকালে শুরু হবে ভোটগণনা। ২৪৩ আসনের ফলেই নির্ধারিত হবে বিহারের আগামী পাঁচ বছরের রাজনৈতিক ভাগ্য।
কিন্তু তার আগেই এই পরিসংখ্যান একটাই বার্তা দিচ্ছে — বিহারের রাজনীতিতে এখন নারীরাই গেম চেঞ্জার।
কিছু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিললেও, সামগ্রিক চিত্রে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এর তুলনায় খানিকটা এগিয়ে বলে আভাস দিয়েছে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন সংস্থা প্রকাশিত এক্সিট পোলের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আরজেডি–কংগ্রেস–বামেদের জোটের তুলনায় বিজেপি–জেডিইউ–সহযোগী দলগুলির পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে ভালো হতে পারে।
তবে ভারতের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষা সব সময়ই ফলের সঙ্গে মেলে না। অনেক সময় বাস্তব ফলাফলে বড় চমক দেখা গেছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে এই পূর্বাভাসই পরে সত্যিও হয়েছে। ফলে চূড়ান্ত ফলাফলের আগে পুরো চিত্র পরিষ্কার নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
