রাজ্য সরকার টাটাদের দাবি মতো ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি না হওয়ায় মামলা গড়িয়েছিল আদালতে৷ সমস্যা সমাধানে আরবিট্রেটর নিয়োগ করেছিল আদালত৷ তিন সদস্যের সেই সালিশি আদালতও টাটাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল৷
যদিও তিন সদস্যের সালিশি আদালতের এক বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলে রাজ্য সরকার৷ হাইকোর্টে আপিল করা হলেও তা খারিহয়ে যায়৷ এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার৷ এ দিন বিচারপতি পি নরসিমহা ও বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চে ওঠে মামলাটি৷
advertisement
রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবল দাবি করেন, ‘তিন সদস্যের আরবিট্রেটরদের মধ্যে এক বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁকে টাটাদের আমন্ত্রণে ১৫ বার নাগপুরে যেতে দেখা গিয়েছে। অথচ সালিশি আদালতে মামলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমন্ত্রণ পেয়েও সেখানে যাননি তিনি৷’
আরও পড়ুন: অনুমতি দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, আর বাধা রইল না ইডি-র! বড় বিপাকে রাজ্যের কোন মন্ত্রী?
টাটাদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি তীব্র আপত্তি করে বলেন, একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে কীভাবে এই ধরনের অভিযোগ করা যায়? অবিলম্বে আবেদন খারিজ করে রাজ্যকে জরিমানা করার দাবি করেন তিনি৷ এরপরই নিজের দাবির সপক্ষে কিছু নথি আদালতে পেশ করেন সিবল৷
এর পরই রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে সতর্ক করে দুই বিচারপতি বলেন, যদি কোনওভাবে বোঝা যায় যে, এই দাবি অন্যায্য, তাহলে রাজ্যকে বড় জরিমানা করা হবে৷ সিবল তখন বলেন, তিনি সেই নথি ফেরত নিয়ে নিতে চান৷
ফের আপত্তি করে টাটাদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেন, ‘সবকিছুর সীমা থাকা উচিত। রাজ্যকে বড় জরিমানা করা হোক৷’ সবশেষে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত৷