স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছে নিউজ১৮। মন্ত্রক গোটা প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছে। পাশাপাশি ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) একটি কমিটি গঠন করেছে, যেখানে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ), কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ) এবং বিমান নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
advertisement
মন্ত্রকের এক সিনিয়র কর্তার কথায়, “সিস্টেমের স্পেসিফিকেশন নিয়ে কাজ চলছে। স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত হলেই ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
আরও এক কর্তা জানান, প্রকল্পটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পর্যায়ে দিল্লি, মুম্বই, শ্রীনগর, জম্মুর মতো সংবেদনশীল বিমানবন্দরগুলিতে এই ব্যবস্থা বসানো হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিমানবন্দরেও তা সম্প্রসারিত হবে।
তাঁর কথায়, “মডেল ও সময়সীমা স্পেসিফিকেশন ঠিক হওয়ার পর নির্ধারিত হবে। বিদেশের কয়েকটি বিমানবন্দরে সফলভাবে ব্যবহৃত অ্যান্টি-ড্রোন মডেলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
২০২৫ সালের এপ্রিলে পাহালগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়, সেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম না করেই ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসবাদী কাঠামোর উপর লক্ষ্যভেদী হামলা চালায়। একই সময় পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন ভারতীয় আকাশসীমায় দেখা যায়, যেগুলির অনেককেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি করে নামায়।
কর্তাদের মতে, এই অভিজ্ঞতাই নাগরিক বিমানবন্দরে অ্যান্টি-ড্রোন সুরক্ষা বসানোর অন্যতম প্রধান কারণ—বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে অবস্থিত বিমানবন্দরগুলিতে।
