Dr Imran Patel ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে শিশুদের মন ভোলানো সেই চিকিৎসক! ‘চুমু খাওয়া ও স্পর্শের’ কৌশল নিয়ে এবার তুমুল বিতর্ক
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Dr Imran Patel, Pediatrician controversy ড. ইমরান প্যাটেল শিশুদের ভ্যাকসিনের সময় চুমু ও স্পর্শের কৌশল নিয়ে বিতর্কে! স্বাস্থ্যঝুঁকি ও স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস নিয়ে চিকিৎসক ও অভিভাবকদের মধ্যে মতবিরোধ। কেন জানেন?
চিকিৎসক হিসেবেই শুধু জনপ্রিয় নন, শিশুদের কাছের মানুষ তিনি। তিনি যা পারেন তা আর কেউ পারেন না— এমনই বলেন ভক্তরা। চিকিৎসকেরও আবার ফ্যান-ফলোয়ার? হ্যাঁ! দেশে একজনই আছেন এমন। ড. ইমরান প্যাটেল। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে শিশুদের মন ভোলানো সেই পেডিয়াট্রিশিয়ান! তাঁকে নিয়েই এবার শোরগোল। তাঁর ‘চুমু খাওয়া ও স্পর্শের’ কৌশল নিয়ে এবার তুমুল বিতর্ক! ড. ইমরান প্যাটেলের উদ্দেশ্য যতই নিরীহ মনে হোক, নেটিজেনদের মত—শিশুকে শান্ত করানোর চেষ্টায় তিনি সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
কয়েক মাস আগেই ড. ইমরান ভাইরাল হয়েছিলেন তাঁর কোমল আচরণের জন্য। ইনজেকশন নেওয়ার ভয় পাওয়া একটি শিশুকে তিনি গান শোনাচ্ছিলেন, গল্প করে মন ভালো করে দিচ্ছিলেন—আর নেটিজেনরা তাঁর এই মানবিক পদ্ধতিকে বাহবা দিচ্ছিলেন। কিন্তু যে স্টাইল তাঁকে তখন অনলাইনে প্রিয়মুখ করে তুলেছিল, আজ সেটাই উল্টো পথে যাচ্ছে।
advertisement
advertisement
advertisement
নতুন একটি ভিডিও সামনে আসতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়—ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে ড. প্যাটেল শিশুকে কোলে নিয়ে পা ও গালে চুমু খাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গা—তিনি গ্লাভস বা মাস্ক কিছুই পরেননি, আর ইনজেকশন দেওয়ার পর সুইটি এদিক-ওদিক ছুঁড়ে ফেলছেন। বহু দর্শকের মতে, এতে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
advertisement
এই পোস্ট সামনে আসতেই ডাক্তার, অভিভাবক—সব মহল থেকেই সমালোচনা শুরু হয়।
এআইআইএমএস-দিল্লির চিকিৎসক ড. শৌর্য গর্গ লেখেন,
“সিরিঞ্জ ছোড়া আর বাচ্চাকে চুমু খাওয়া—এই অংশগুলি নিশ্চিতভাবেই প্রশ্ন তুলছে। তবে হয়তো ভারতীয় সংস্কৃতিতে বাবা-মা ও চিকিৎসকের ক্ষেত্রে এটা কিছুটা ‘গ্রহণযোগ্য’ ভাবা হয়। এই কৌশল কোনও নিয়মকানুনে নেই (সেটাই ভাল), তবে একে ‘গারবা মেথড’ বলা হয়—ড. উইলিয়াম এম. গারবার ব্যবহৃত ডিস্ট্র্যাকশন টেকনিক থেকে।”
advertisement
আর এক চিকিৎসক মত দেন,
“সিরিঞ্জ ছুড়ে ফেলা, গালে চুমু—এসব কোনও স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস নয়। এত নাটকীয়তার প্রয়োজন নেই। ইনজেকশনের সময় এক মিনিট কান্না করলেই শিশুরা ঠিক হয়ে যায়। ব্যথা হলে কাঁদাই স্বাভাবিক।”
Throwing syringe after vaccination, touching / kissing on cheek is not standard practice. In fact without all this drama , they cry for less than a minute & are fine. it is better to cry when pain is experienced.. https://t.co/JLtYfEtE0W
— Dr.Pushpa Kini🇮🇳 (@KiniPushpa) November 19, 2025
advertisement
এক অভিভাবক সোজাসুজি বলেন,
“ডাক্তার হলেও আমার বাচ্চা মেয়েকে কোনও পুরুষ চুমু খাবে—এটা মেনে নেব না। ভ্যাকসিন দিন, বাচ্চা কাঁদবে—তারপর সব শেষ। এই নাটক না হলেই ভাল।”
তবে সমালোচনার মাঝেই একজন নেটিজেন ড. প্যাটেল আংশিক সমর্থন দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,
“স্পর্শ আর চুমুর অংশ বাদ দিলে, বাকিটা আসলে খুব ক্ষতিকর নয়। এটাকে মার্কেটিং বা প্যারেন্ট–এনগেজমেন্ট বলেই দেখা যেতে পারে।”
advertisement
লম্বা ব্যাখ্যার শেষে তিনি যোগ করেন,
“প্রত্যেকের নিজের নিজের স্টাইল থাকে। এই পর্যায়ে এটাই তাঁর অভিভাবকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরির পদ্ধতি।”
view commentsLocation :
Gujarat
First Published :
November 21, 2025 3:33 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Dr Imran Patel ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে শিশুদের মন ভোলানো সেই চিকিৎসক! ‘চুমু খাওয়া ও স্পর্শের’ কৌশল নিয়ে এবার তুমুল বিতর্ক

