শুধু তাই নয়, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্জাবের ১৩টি লোকসভা আসনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৪০ জন প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে আপ৷ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে একটি সমীক্ষা চালাবে তারা৷
ঘটনাচক্রে এ দিনই বর্ধমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট না করে একাই লড়বে তৃণমূল৷ মমতা অভিযোগ করেছেন, আসন রফা নিয়ে তিনি একাধিক প্রস্তাব দিলেও কংগ্রেস তা খারিজ করে দিয়েছে৷ তবে তৃণমূলনেত্রী জানিয়েছেন, জোট নিয়ে ভোটের পরেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পঞ্জাবেও জোটের আশায় জল ঢেলে দিল আপ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই’, হঠাৎ জোট নিয়ে হুঙ্কার মমতার
যদিও সিনিয়র কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল এ দিনও দাবি করেছেন, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে তাদের জোট হবেই৷ বেণুগোপালের বলেন, আমাদের লক্ষ্য বিজেপি-র আসন সংখ্যা কমানো৷ আমরা তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলব৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী৷ ছোট ছোট যা মতপার্থক্য আছে তা মিটিয়ে ফেলা হবে৷
আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আপ, তৃণমূল অথবা সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলির বিরোধ অবশ্য নতুন নয়৷ ইন্ডিয়া জোট গঠনের পর থেকেই এই পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়৷
এই তিন রাজ্যেই নিজেরা শক্তিশালী হওয়ায় কংগ্রেসকে নামমাত্র আসন ছাড়ার পক্ষে অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরীবালরা৷ যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব আরও বেশি আসন চাওয়াতেই জটিলতা বেড়েছে৷