জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে পঞ্জাবে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পছন্দ করতে ফোন লাইন খুলে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে নাকি বন্যার জলের মতো এসেছিল দলের কর্মীদের ফোন, সকলেই ভগবন্ত মানকে সামনে রাখতে বলেছিলেন। তাতেই শেষ পর্যন্ত বিনা-লড়াইয়ে প্রধান মুখ হলেন তিনি। কেজরিওয়াল আগেই বলেছিলেন, 'জনতা চুনেগি আপনা সিএম।' সেই স্লোগানেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করলেন মান।
advertisement
আরও পড়ুন -উত্তর প্রদেশ নির্বাচনেও বড় ভূমিকা নেবেন মমতা? আজ কালীঘাটে যাচ্ছেন অখিলেশের দূত
শুধু দলের অন্দরের কথা শোনাই নয়, শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেও একটা বার্তা দিলেন কেজরিওয়াল। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আপের সিদ্ধান্তে শিরোমণি অকালি দলের মতো শিখ নেতৃত্বাধীন দলের মুখ বন্ধ হবে। শুধু কী তাই, আছে কংগ্রেসের দাওয়াইও। বিভিন্ন প্রতিবেদনেই প্রকাশ পেয়েছে, আপকে বহিরাগত দল বলে প্রচারে আক্রমণ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরনজিৎ চন্নি। সেই প্রেক্ষিত থেকে দাঁড়িয়ে ভগবন্ত মানকে প্রার্থী করে কার্যত কিস্তিমাত করলেন কেজরিওয়াল।
আরও পড়ুন: মমতার পথ অনুসরণ করে মোদিকে চিঠি দিলেন স্ট্যালিন
আপের প্রচারের অন্যতম পরিকল্পক, দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, ভগবন্ত মানের পঞ্জাবে জাত, পাত, ধর্ম নির্বিশেষে একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। একেবারে দরিদ্র মানুষের মধ্যেও তিনি বিপুল ভাবে জনপ্রিয়। দলিত, শিখ, হিন্দু, সব জাতের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে মানের জনপ্রিয়তা আছে।
৪৮ বছরের ভগবন্ত মানের জন্ম ১৭ অক্টোবর। পেশাগত জীবন শুরু একজন কৌতুক অভিনেতা হিসাবে। এর পর তিনি যুক্ত হন মনপ্রিত বাদলের পিপিপি দলে। ২০১৪ সালে তিনি আপে যোগ দেন। সাঙ্গুর থেকে ২ লক্ষের বেশি ভোটে জয় পান। নিজের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে তাঁর। মূলত শিশুদের জন্য তিনি কাজ করেন। এ ছ়াড়া ইরাক থেকে ফেরত আসা ভারতীয়দের জন্যও তিনি কাজ করেছেন। এক কথায় তাঁকে বলা চলে, কৌতুকের রাজা, বিতর্কের মধ্যমণি। সেই মানুষটিই এবার নির্বাচনে আপের কালো ঘোড়া।