আরও পড়ুন- বিকেলে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উদ্বোধন মোদির, ফের জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি মমতার
ওয়াইসির মতে, ভাগিদারি পরিবর্তন মোর্চা (Bhagidari Parivartan Morcha) নির্বাচনে জয়ী হলে, তারা দুইজন মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে আনবেন। একজন হবেন দলিত এবং একজন ওবিসি নেতা। এছাড়া তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রীও রইবেন যাদের একজন হবেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী।
মোট ৪৯৩ টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী দেবে মোর্চা।
advertisement
ফ্রন্টের মধ্যে রয়েছে বাবু সিং কুশওয়াহার নেতৃত্বাধীন জন অধিকারী পার্টি (Jan Adhikari Party), বামন মেশরামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ভারত মুক্তি মোর্চা (Bharat Mukti Morcha), অনিল সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন জনতা ক্রান্তি পার্টি (Janata Kranti Party) এবং রাম প্রসাদ কাশ্যপের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বঞ্চিত সমাজ পার্টি (Bhartiya Vanchit Samaj Party)।
মোর্চার এই দলগুলির প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই ৫৮ টি বিধানসভা আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের প্রধম দফায় পশ্চিম উত্তর প্রদেশে এই ভোটগ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন- "সনিয়া রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে", কংগ্রেস-তৃণমূল জোট প্রত্যাশী নাফিসা আলি
বহুজন সমাজ পার্টি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী (২০০৭-২০১২) বাবু সিং কুশওয়াহার বেশ প্রভাব রয়েছে বুন্দেলখণ্ড অঞ্চল এবং মধ্য উত্তর প্রদেশের ওবিসি, বিশেষ করে মৌর্য, কুশওয়াহা, শাক্য এবং সৈনি সম্প্রদায়ের মধ্যে।
প্রভাবশালী দলিত নেতা, অল ইন্ডিয়া ব্যাকওয়ার্ড (SC, ST, OBC) এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কর্মচারী ফেডারেশনের (BAMCEF) সভাপতি হলেন বামন মেশরাম।
এই নয়া ফ্রন্টের সভাপতি করা হয়েছে বামন মেশরামকে, বাবু সিং কুশওয়াহা এর আহ্বায়ক। জোটে যোগদানের বিষয়ে ভীম আর্মি, পিস পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় উলেমা কাউন্সিলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।
নয়টি ছোটো রাজনৈতিক দলের জোট ভাগিদারি সংকল্প মোর্চা শুরু হয় গত বছর। এতে AIMIM, ওম প্রকাশ রাজভরের নেতৃত্বাধীন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (SBSP), জন অধিকার পার্টি, বাবু রামপালের রাষ্ট্রীয় উদয় পার্টি, প্রেমচন্দ প্রজাপতির রাষ্ট্রীয় উপেক্ষিত সমাজ পার্টি এবং জনতা ক্রান্তি পার্টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে, SBSP প্রধান ওম প্রকাশ রাজভর সমাজবাদী পার্টির জোটে যোগ দেন।
বাবু সিং কুশওয়াহা জানিয়েছেন, ভীমরাও আম্বেদকরের অনুগামীরা এবং সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে দীক্ষিত মানুষরাই বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য এক মঞ্চে এসেছেন। তাঁর বক্তব্য, “মোর্চা জনসংখ্যার অনুপাত, জাতিগত শুমারি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ, সরকারি কর্মচারীদের পুরনো পেনশন প্রকল্প পুনরুদ্ধার, বিনামূল্যে শিক্ষা, প্রান্তিক কৃষকদের ঋণ মকুব এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের ইস্যুতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।”