কলকাতা পুরভোটে পুরোপুরিই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সেই কারণেই আজ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর মত পদাধিকারী নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারমধ্যেই নতুন রাজ্য কমিটি গড়েছে বিজেপি।
কলকাতা পুরভোটে বামেদের থেকেও ভোট শতাংশে পিছিয়ে গিয়েছে বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি বিজেপির আসল বিরোধী দল তৃণমূল। বামেরা যেখানে ১২% ভোট পেয়েছে সেখানে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ ভোট। আজকের বৈঠকে এইসমস্ত বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে আসতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার ফলের পরই কেন অমিত শাহের কাছে রাজ্যপাল? হতাশা আর ব্যর্থতা খুঁজছে তৃণমূল!
একুশের ভোটের পর রাজ্যের সংগঠন তলানিতে। ফল নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে। যার ফলে দলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে ওঠে। এরপর কলকাতা পুরসভার ভোটের ফলের পরও প্রার্থী নির্বাচন তথা সংগঠন নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে।কলকাতা পুরসভা ভোটের ফল বুঝিয়ে দিয়েছে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ৮ মাসের মধ্যে আরও কমেছে বিজেপি-র জনসমর্থন। শহরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিজেপি-কে সরিয়ে উঠে এসেছে কংগ্রেসে।
বিজেপি এ বারের পুরভোটে লড়াই করেছিল ১৪২টি ওয়ার্ডে। ২ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন। তার মধ্যে তারা জিতেছে ৩টি ওয়ার্ডে। বাকি ১৩৯টি ওয়ার্ডেই পরাজিত হয়েছেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা। এর মধ্যে আবার ১১৬টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীরা জামানত খুইয়েছেন, যা শতাংশের বিচারে ৮১ শতাংশ।
কলকাতা পুর-এলাকার ১৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে চারটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কংগ্রেস। বেলেঘাটা, চৌরঙ্গি, বালিগঞ্জ এবং মেটিয়াবুরুজে দু নম্বরে রয়েছে তারা। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে এই চার আসনে দ্বিতীয় হয়েছিল বিজেপি। চারটি আসনে দ্বিতীয় হওয়া ছাড়াও, কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে রয়েছে জোড়াসাঁকো এবং এন্টালিতে। কলকাতা পুর এলাকার বাকি ১১টি বিধানসভা আসনে তারা চতুর্থ স্থানে।