পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জাফর আলি একটি সুসংগঠিত চক্রের সদস্য। অভিযোগ, সে দীর্ঘদিন ধরে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত। তারই এক ‘গ্রাহক’ আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ভারী ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে উঠছিলেন, RPF এসে বলল ‘ব্যাগে কী?’ মহিলার উত্তর, ‘পারসোনাল’… তার পর যা হল!
advertisement
রাতে হাওড়ার দিকে ছুটছিল ট্রেন, AC কোচে টহল দেওয়ার সময় RPF-এর চোখে পড়ল ‘অদ্ভুত’ এই জিনিস! এগুলো কী?
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে আজাদ বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর সে যোগাযোগ করে জাফরের সঙ্গে। তদন্তকারীদের দাবি, জাফর নিজের পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই আজাদের জন্য ভারতীয় পরিচয়ের নথি বানিয়ে দেয়। আধার, প্যান ও ড্রাইভিং লাইসেন্স—সবই জাল। প্রতিটি নথির জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হত।
আজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেরা শুরু করে। তাতেই জাফরের নাম উঠে আসে। তার পরেই অভিযান চালিয়ে নাজাট এলাকা থেকে জাফর আলিকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এই জাল পরিচয়পত্র তৈরির পিছনে আর কে বা কারা রয়েছে। একা জাফর নয়, পুরো একটি চক্র এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলেই প্রাথমিক অনুমান। কারা তথ্য সরবরাহ করত, কিভাবে এই সমস্ত সরকারি নথি তৈরি হত, তাতে কোনও দফতরের কর্মচারী জড়িত কি না—সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত জাফরের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আদালতে পেশ করা হলে তদন্তের স্বার্থে তাকে ৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বেআইনিভাবে বসবাস এবং অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ আগেও উঠেছে। তাই এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। তদন্তের অগ্রগতি ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে এখন সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছে পুলিশ।