সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত কড়া বার্তা দিয়ো বলেন, ‘‘বাস্তবে যা চলছে, তাকে আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না৷ ধরুন কেউ একটা অনুপ্রবেশ করছে, বেআইনি ভাবে, তখন সেই পরিস্থিতিকে সামাল দেবেন কী করে? আপনি যদি না ধরেন, তাহলে এই ভাবে দেওয়ালে লিখে পালিয়ে যাবে৷’’
বিচারপতি সূর্যকান্তের কথায়, ‘‘হ্যাঁ, ধরা (পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করা) দরকার, হয়ত যদি, যেখানকার লোক, তাঁরা কোনও কার্ড বা কিছুর ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে বিষয়টা আটকানো যায়৷’’
advertisement
বাংলা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লিতে আটক করা হচ্ছে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের৷ এমনকি, তাঁদের পরিচয় পত্রও দেখা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ বিষয়টি নিয়ে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ কলকাতা পুলিশের তরফেও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন৷
বিচারপতি কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানায়, ‘‘যেসব রাজ্যে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করছেন, সেই সব রাজ্যের শ্রমিকদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাওয়ার, তাদের মূল রাজ্য থেকে তাদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার অধিকার রয়েছে৷ কিন্তু সমস্যাটি হল অন্তর্বর্তিকালীন। যদি আমরা কোনও অন্তর্বর্তিকালীন আদেশ জারি করি, তাহলে এর অন্য পরিণতি হবে৷ বিশেষ করে যারা সীমান্তের ওপার থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকছে তাদের চিহ্নিত করা যাবে না এবং আইন মাফিক তাদের ডিপোর্ট করা প্রয়োজন৷’’
আবেদনকারী, পশ্চিমবঙ্গ অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড, সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করেছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০২৫ সালের মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্দেহভাজন অভিবাসীদের আটক করার চিঠি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হোক এবং রাজ্যগুলিকে বেআইনিভাবে বাঙালি অভিবাসী কর্মীদের আটক করা থেকে বিরত রাখা হোক।