ময়মনসিংহ: এক সাধারণ তরুণ৷ কাজ করতেন পোশাক কারখানায়৷ বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়৷ অন্যান্য দিনের মতে ওইদিনও তাঁর মা অপেক্ষা করছিলেন ছেলের জন্য৷ কখন সে কাজ থেকে ফিরবে৷ কিন্তু, সে ফিরল না৷ ময়মনসিংহের ব্যস্ত রাস্তায় বেধড়ক মারধর করা হল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দীপু চন্দ্র দাসকে৷ ঝুলিয়ে দেওয়া হল নগ্ন করে…তারপর বীভৎস দৃশ্য৷ সবটাই ক্যামেরাবন্দি হল উপস্থিক দর্শকদের মোবাইল ফোনে৷ নতুন করে উত্তপ্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু তরুণের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে নিন্দায় তোলপাড় হয়েছে এপাড় বাংলাও৷ শনিবার দীপু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিশ৷
advertisement
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় চালাচ্ছে Rapid Action Battalion (ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন)৷ তাতেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত ব্যক্তিদের নাম মুহম্মদ লিমন সরকার, মহম্মদ কারেক হোসেইন, মুহম্মদ মানিক মিঞা, এরশাদ আলি, নিঝুম উদ্দিন, আলমগীর হোসেইন ও মুহম্মদ হোসেইন একন৷
দীপু চন্দ্র দাস, কারখানায় কাজ করা এক তরুণ কর্মী, তাঁকে ময়মনসিংহের ভালুকায় বেধড়ক পিটিয়ে, মেরে, কয়েকশো লোকের সামনে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার জের, রানাঘাটে নামতেই পারল না মোদির কপ্টার! ফিরল কলকাতায়
ভালুকার পুলিশ আধিকারিক রিপন মিঞা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘‘বৃহস্পতিবার, রাত ৯টা নাগাদ, উন্মত্ত জনতা ওঁকে (দীপু) পিটিয়ে মারে৷ তারপর তাঁর দেহতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷’’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা নাইমুল হাসান বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত হয় ৪টার সময়। ফ্যাক্টরির ফ্লোর ইনচার্জ তাঁকে (দিপুকে) ইস্তফা দিতে বাধ্য করে। ইস্তফা দেওয়ার পর উত্তেজিত জনতার কাছে সে (ফ্লোর ম্যানেজার) হ্যান্ডওভার করে দেয়। পুলিশের কাছে কেন দেয়নি, তার নিরাপত্তা কেন নিশ্চিত করেনি সেজন্য পাইওনিয়ার কারখানার দুজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।’’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বার বার চেষ্টা করেছি, কাকে বলেছে, কী বলেছে- এটা কিন্তু কেউ বলতে পারেনি। আমার মনে হয়, উত্তেজিত জনতা কিংবা পূর্বের কোনও শত্রুতা ছিল কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখব।”
