গতকাল শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "গাধা জল খায়, তবে তা ঘোলা করে খায়। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।"বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকার ম্যাচিং মানি অর্থাৎ রাজ্যের অংশের টাকা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। সুকান্তের সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই পাল্টা বিজপিকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ ব্যানার্জি। তাঁর দাবি, "বিজেপি সাংসদরা নালিশ জানাতে আসেন। সংসদে থাকেন না। ১০০ দিনের কাজে এক নম্বরে রয়েছে বাংলা। "বিধানসভা নির্বাচনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, "উল্টোপাল্টা কথা বলে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল বিজেপি। এখন উল্টে ঝাড় খাচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: পুরভোট নিয়ে কোন পথে বিজেপি? সোমবার হাইকোর্টের রায়ের দিকেই সব নজর!
তাঁর অভিযোগ, তদন্তের নামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করেছে ইডি, সিবিআই। কল্যাণের দাবি, জাতীয়স্তরের নেতা হয়ে উঠে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই ভয় পেয়ে তাঁকে আক্রমণ করছে বিজেপি।" আগামী এপ্রিলে কলকাতায় বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য গৌতম আদানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে। লোকসভায় অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বাকযুদ্ধ নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। এই বাস্তবতা বুঝতে হবে। এরা আরও গাড্ডায় ডুবে যাবে।" কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কল্যাণ আরও বলেছেন, "যে নেতারা এখন আছেন, তাঁদের নেতৃত্বে এখন কিছু হবে না। অধীর চৌধুরীর মত একজন বিরোধী দলনেতা,ভাবা যায়! কনস্টেবলের মত খালি উঠছে, বসছে। হাই হাই করে চিৎকার করছে। কখন কী বলতে হয় তা জানে না।"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে 'আদানি' খোঁচা সুকান্তর! পালটা কটাক্ষ কুণাল ঘোষের...
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ লোকসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করছিল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। তাদের বিক্ষোভের জেরে বিঘ্নিত হচ্ছিল প্রশ্নোত্তর পর্বের আলোচনা। সেই সময় তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ ব্যানার্জি অধ্যক্ষকে টিআরএস সাংসদদের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। সেই সময়েই হঠাৎ অধীর চৌধুরী বলতে শুরু দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "শিষ্টাচারের কিছুই জানেন না অধীর চৌধুরী। একজন প্রবীণ সাংসদদের বক্তব্যের মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়লেন। তাঁর মনে হল, তৃণমূল সব কৃতিত্ত্ব নিয়ে চলে গেল।" পরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিএমকের টিআর বালুর দুই নেতাকে বুঝিয়ে শান্ত করেন।