ত্রিপুরায় (Tripura Civic Polls) আজ শেষ দিনের প্রচারে, প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে 'নবরত্ন'-এর কথা মনে করাবেন। আগরতলা দখলের লক্ষ্যে তৃণমূলের অস্ত্র নবরত্ন৷ গত ১৬ তারিখ আগরতলা পুরসভার নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করা হয় ৷ যে ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছিল আগরতলার জন্য নবরত্ন৷
আরও পড়ুন- যাত্রী সুবিধায় মেট্রোতে চালু হচ্ছে টোকেন, চুরি আটকাতে সচেতনতায় জোর
advertisement
আগরতলার উন্নয়নে মূলত ৯টি প্রতিশ্রুতির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ তৃণমূলের ইস্তেহারে আগরতলাবাসীর জন্য করের বোঝা লাঘব করা থেকে শুরু করে নারী সুরক্ষার মতো বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৷ মূলত ৯টি ইস্যুর উপরে জোর দিয়েছে তারা ৷ আগরতলার রাস্তাঘাটকে খানা খন্দ মুক্ত করে উন্নত করা ৷ আগরতলার ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে৷ আগরতলার ৯টি পুর বাজারের মানোন্নয়ন ৷ আগরতলার চার জায়গায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে৷ সাধারণ মানুষের উপর থেকে কমানো হবে করের বোঝা ৷
আগরতলার শ্মশানে দু'টি গ্যাস চালিত চুল্লির বদলে বৈদ্যুতিন চুল্লির ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রতিটি রাস্তায় ৩০০ মিটার অন্তর আলোর ব্যবস্থা করা৷ ৩০টি প্রধান মোড়ে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানো হবে৷ তিনটি ধাপে সাতশো সিসিটিভি-তে মুড়ে দেওয়া হয়েছে আগরতলা শহরকে ৷ গোটা শহরে টহল দেওয়ার জন্য পাঁচটি ডেডিকেটেড ভ্যান৷ নারী নিরাপত্তায় চালু করা হবে মহিলা চালিত পিঙ্ক ট্যাক্সি এবং পিঙ্ক অটো ৷
কলকাতার মতোই নিজেদের অভিযোগ, সমস্যা নিয়ে সরাসরি মেয়রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন আগরতলার মানুষ ৷ তৃণমূল আমলে গত এগারো বছরে কলকাতার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতারা ৷ তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি, তারা ক্ষমতায় এলে আগরতলাবাসীর উপর থেকে করের বোঝা কমানো হবে, রাজস্ব আদায়ের অর্ধেক শহরের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে৷ ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে আগরতলা পুরনির্বাচন তৃণমূলের কাছে বড় পরীক্ষা ৷
আরও পড়ুন- নেত্রী পা রাখতেই বড় চমক, তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন কীর্তি আজাদ
আগরতলা-সহ ত্রিপুরার পুরভোটে তাই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির৷ ত্রিপুরায় গিয়ে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন তৃণমূলের এ রাজ্যের একাধিক বিধায়ক-সহ তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা ৷ প্রচারের জন্য বেশ কয়েকজন তারকা বিধায়ক, সাংসদকেও ত্রিপুরায় আনা হয়েছিল। সোমবার প্রার্থীদের সাথে কথা বলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ত্রিপুরার মানুষদের কাছে আমার হাত জোড় করে অনুরোধ, আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। বিপ্লব দেবের তল্পিবাহক হবেন না। হাতে পদ্মফুল হোক বা মোদির ছবি নিয়ে হোক, বৃহস্পতিবার ভোট দিতে যান। ভোটকেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে জোড়াফুল চিহ্নের বোতাম টিপে ভোট দিন। ২৫ তারিখ ভোট হলে আপনার মূল্যবান ভোট দিতে যেতে হবে। না হলে ত্রিপুরার পরিস্থিতির বদল হবে না।’’
তাঁর দাবি, যে ভাবে বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে, সে ভাবেই এই সরকারকে বোকা বানাতে হবে। অভিষেকের দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আগরতলার পুরভোটে বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না।’’
আবীর ঘোষাল