পুলিশকে ওই প্রৌঢ় জানিয়েছেন এপ্রিলে এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর আলাপ হয় অন্নাম্মার সঙ্গে। বন্ধুর কাছে তিনি শুনেছিলেন অন্নাম্মার পাঁচ বছর বয়সি ছেলে ক্যানসার আক্রান্ত। তাই সে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। সন্তানের সুস্থতার জন্য টাকা দরকার। এর পর একাধিক হোটেলে তাঁদের দেখা হয়। যৌন সংসর্গও হয়। পুলিশের কাছে প্রৌঢ়ের দাবি, অন্নাম্মাই জোর করে যৌন সম্পর্ক তৈরি করে।
advertisement
অন্নাম্মার সূত্রেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর আলাপ হয় স্নেহার সঙ্গে। স্নেহাও নানা অছিলায় তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়। ঘনিষ্ট মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে ৮২ লক্ষ টাকা তুলে তিনি দুই তরুণীকে দিতে বাধ্য হন। এই টাকা আদায়ের কথা জানাজানি হলে প্রৌঢ়ের মেয়েকে ধর্ষণ করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এর কিছু দিন পর আরও ৪২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় প্রৌঢ়ের কাছ থেকে। হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে তিনি এ বার পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৩০০ গ্রাম সোনার গয়না। ধৃতরা এর আগেও ব্ল্যাকমেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশের ধারণা।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে লোকেশ ও স্নেহার সন্তানের বয়স ১ বছর। অন্নাম্মা জানিয়েছে কয়েক বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এর পর এভাবে ব্ল্যাকমেলিং করেই তার অন্নসংস্থান হয়।