ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রাজগড় শহরে ঘটেছিল, যেখানে পিহু জন্মগ্রহণ করেছিল। তার ঠাকুমা গলা কেটে নবজাতক মেয়েটিকে জন্মের পরপরই একটি আবর্জনার বিনে ফেলে দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পিহুর উদ্ধারের কাহিনী আরও চমকে দেওয়ার মতো। পথচারীরা প্রথমে বুঝতে পারেনি। পরে তার কান্না শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেতেই পুলিশ শিশুটিকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনটাই জানিয়েছেন, পচোর পুলিশ স্টেশন ইন-চার্জ অখিলেশ ভার্মা। সিভিল সার্জন ডঃ পিএস পার্মার জানিয়েছেন যে নবজাতকের গলায় একটি ধারালো অস্ত্রে কাটা হয়।
advertisement
তবে, মেয়েটি ভুপালের কমলা নেহরু হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের নিরলস প্রচেষ্টার পর বেঁচে যায়। তার গলার কাটা গভীর ছিল কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে খুব বেশি শিরা এবং ধমনীর ক্ষতি হয়নি। একাধিক সার্জারি করা হয়, যেখানে সার্জনরা রক্তনালীগুলি মেরামত করেন।
শিশুটি বেঁচে থাকার জন্য সাহসী লড়াই করেছিল কারণ তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছিল। এক মাস পর, ডাক্তাররা তাকে বিপদমুক্ত ঘোষণা করেন এবং শুক্রবার তাকে ছেড়ে দেন।
কমলা নেহরু হাসপাতালের HOD ধীরেন্দ্র শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “আমাদের এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। তার গুরুতর আঘাত ছিল, কিন্তু সে ছোট হলেও দারুণ লড়াই করেছে, সাহস দেখিয়েছে। পিহু এখন বিপদমুক্ত। আমরা ওকে শিশু কল্যাণ কমিটির অনুমতি নিয়ে রাজগড়ের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হস্তান্তর করেছি।”
আরও পড়ুন: ৪ বছরে ৪টি ‘ভুয়ো বিয়ে’, বাংলাদেশি মহিলার গৃহ নির্যাতনের অভিযোগে বারবার ফাঁসে এপারের পুরুষরা! তারপর…
পুলিশ আগে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল এবং অপরাধের পিছনে যারা ছিল তাদের ট্র্যাক করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ স্ক্যান করেছিল। পিহুর মা এবং ঠাকুমাকে অপরাধে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, এমনই এক ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে ঘটে৷ এক নবজাতক শিশুর মৃতদেহ একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং কুকুর তার মাথা ছিঁড়ে ফেলেছিল।