বাবুল এই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এদিন বলেন, "আমাদের জীবনে বহু ঘটনা ঘটে। তা থেকে মনে যা হয় সেভাবেই আমরা প্রতিক্রিয়া দিই। আমি হয়তো গায়ক বলে কিছুটা আবেগপ্রবণ কিন্ত রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্তটা ঝোঁকের মাথায় ছিল না।" কিন্তু সেই সন্ন্যাস ভেঙে কেন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? বাবুলের এক কথায় ব্যাখ্যা, "প্লেইং ইলেভেন এ থাকতে চাই।" অর্থাৎ প্রথম একাদশে সুযোগ চান তিনি। বাবুল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিজেপিতে তিনি কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন। তাহলে কি মন্ত্রিত্ব হারানো নিয়ে ক্ষোভ নাকি কাজ করতে না পারা, ক্রোধের মূল কারণটা কোথায় রাখা? বাবুল ভেঙে বললেন না।
advertisement
আরও পড়ুন-অমরিন্দরের জায়গায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কে? মহানাটকের অবসান আর কিছুক্ষণেই...
তা বলে অবশ্য ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চাইছেন না বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, "যখন যেটা করি তখন সেটা মন দিয়ে করি। অতীতের কোনও পোস্ট ডিলিট করব না।"
কিন্তু গাঁটছড়াটা কে কবে বাঁধল! বাবুল বলছেন, "মাত্র চার দিন আগে ডেরেক ওব্রায়েন সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুরো বিষয়টাই তার কাছে খুব অনুপ্রেরণার ছিল সেই করণেই এই সিদ্ধান্ত নেন।" সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে বাবুল স্পষ্ট জানালেন, বুধবারই স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করতে চান তিনি।
বাবুলের যুক্তি, "আমি একটি সুযোগে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। এই সুযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করে দিয়েছেন। বাবুলের কথায়, তৃণমূলের থেকে তিনি প্রাণ ভরা ভালবাসা পাচ্ছেন।" তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই ট্রোলিং চলছে। বিন্দুমাত্র না দমে বাবুল বলছেন, ভালোবাসা আর যুদ্ধে সবটাই জায়েজ।