তেলঙ্গানার বিরোধী বিজেপি বলছে, আগামী ১১ নভেম্বর তেলঙ্গানার জুবিলি হিলস কেন্দ্রে উপ নির্বাচন৷ আর এই কেন্দ্রের ৩০ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু৷ তার উপরে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল আজহারকে৷ তবে ওই আসন থেকে পরাজিত হতেছিলেন তিনি৷ এবার একাধারে উপ নির্বাচন ও মন্ত্রীর পদ খালি থাকাকে দুই-য়ে দুই-য়ে চার করেছে কংগ্রেস৷ সব কিছু হিসেবনিকেশ করেই আজহারকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির৷
advertisement
এমনকি, গোটা বিষয়টির বিরোধিতা করে আদর্শ নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে সে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি৷
আরও পড়ুন :যতই চেষ্টা করুন…এই ৫টা খাবার খেলে বাচ্চার শরীরে কিছুতেই ঢুকবে না ভিটামিন ডি, জানুন বিশদে
বিজেপি মুখপাত্রের দাবি, যে ব্যক্তি এই কিছুদিন আগেই ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন, তাঁকে এই ভাবে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার অর্থ ভোটারদের প্রাভাবিত করা৷ এটা ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে৷
কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিজ মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কংগ্রেসকে বলতে হবে, যে মানুষটা জুবিলি হিলস আসনে ভোট লড়ে হেরে গিয়েছিল, তাঁকেই হঠাৎ মন্ত্রী করা হল কেন৷ উপ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ কেন জেগে উঠল সংখ্যালঘু প্রেম? কার স্বার্থে ওঁকে মন্ত্রী করা হয়েছে?’’ বিজেপির দাবি, ভোটারদের প্রাভাবিত করতেই সস্তা রাজনীতি করছে কংগ্রেস৷
শাসকদল কংগ্রেসের অবশ্য যুক্তি, দীর্ঘদিন ধরেই ফাঁকা পড়েছিল ওই মন্ত্রিত্বের আসন৷ তেলঙ্গানা কংগ্রেসের প্রধান মহেশ গৌড় বলেছেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের মন্ত্রিত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল কংগ্রেস৷ পূর্বতন সরকারের মন্ত্রিসভাতেও একজন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব ছিল৷ আমরা মাঝে চলা ভারসাম্যহীনতার সংশোধন করেছি মাত্র৷’’
এদিকে মন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে খুশি আজহার৷ বলেছেন, ‘‘আমি খুশি৷ আমার দলের হাইকম্যান্ড, সাধারণ মানুষ আর আমার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই৷ জুবিলি উপ নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই৷ দু’টো আলাদা বিষয়৷ দু’টোর মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই৷ আমায় যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, আমি তা পালন করার চেষ্টা করব৷
আজহারউদ্দিন এখনও বিধানসভা বা পরিষদের সদস্য নন—যা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কোটায় আইন পরিষদে মনোনীত হয়েছেন, কিন্তু রাজ্যপাল এখনও প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেননি। মন্ত্রী পদ ধরে রাখতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে এমএলসি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আজহারকে নিয়ে রেভানাথের মন্ত্রিসভা দাঁড়াল ১৬ সদস্যের৷ এখনও যেখানে ২টি পদ খালি৷

