রাম মন্দির উদ্বোধন লাইভ । Ram Mandir Inauguration LIVE Updates
অযোধ্যার রাম মন্দিরে পুরুষোত্তম রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখার নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়েছে রামের সুউচ্চ মূর্তি, দোকানে বিকোচ্ছে গেরুয়া ধ্বজা। এরই মাঝে নিজ নিজ বাসভবনে আনন্দে আত্মহারা জলপাইগুড়ি থেকে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই স্মৃতি আজও তাজা জলপাইগুড়ি জেলার দেড়শ কর সেবকের নেতৃত্বে থাকা দেবাশিস লালার।
advertisement
আরও পড়ুন: নবরূপে সেজে উঠেছে অযোধ্যার রাম মন্দির, প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে গণেশ পুজোর মাধ্যমে শুরু ঔপচারিক অনুষ্ঠান
সেদিনের কথা বলতে গিয়ে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘আমরা যখন অযোধ্যায় পৌঁছলাম তার আগে থেকেই লক্ষ লক্ষ করসেবক সেখানে হাজির ছিলেন। ছয় ডিসেম্বর উচ্চ নেতৃত্বের বক্তৃতা চলছিল। তারই মধ্যে কিছু করসেবক পিছন দিক থেকে শাবল, গাঁইতি হাতে মূল ধাচার উপরে উঠে পরে। এরপর আমরাও হাত লাগাই ভিতরে থাকা গর্ভগৃহ থেকে রামলালাকে উদ্ধারের কাজে।’
আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কি পশ্চিমবঙ্গেও সরকারি ছুটি? চিঠি পৌঁছল মমতার কাছে! মিলবে সাড়া?
উররে এক করসেবক তরুণ মাহাতো, নিজের অভিজ্ঞতা স্বরণ করে বলেন, দু সপ্তাহ জেলে ছিলাম, এই রাম মন্দির নির্মাণে বাংলার নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ কলকাতার দুই সহোদর ভাই করসেবক শরৎ কোঠারি এবং রাম কোঠারি এই রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনে আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য স্মরণীয় থাকবেন। আজ সেই সময়ের অনেকেই নেই ইহলোকে, তাঁদের কথা যেমন মনে পড়ছে। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ সপ্ন সফল হচ্ছে এটা দেখে যেতে পারছি, এই জীবনের এটাই বড় প্রাপ্তি।
সুরজিৎ দে