অযোধ্যা: উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। দুর্ঘটনায় একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার পুরা কালন্দর থানা এলাকার পাগলা ভারি গ্রামের ঘটেছে।
advertisement
অযোধ্যার এসএসপি গৌরব গ্রোভার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে যে বাড়িটি ধ্বংস হয়েছে, তার মালিক হলেন স্থানীয় বাসিন্দা পাপ্পু গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর রান্নাঘরের বাসনপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আমরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছি।’ তিনি আরও বলেন, আশেপাশের গ্রাম ও খোলা মাঠে তল্লাশি অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশের দলগুলি পাশের ফসলের ক্ষেতেও তল্লাশি চালাচ্ছিল।
এদিকে ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে ‘আর্থ মুভিং ভেহিকল’ আনানো হয়। সেই মেশিনের সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বসংস্তূপ সরানো হয় রাতে। এই উদ্ধারকাজের জন্য ঘটনাস্থলে আলাদা করে আলো জ্বালানো হয়।
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বেআইনিভাবে মজুত বাজিকে সন্দেহ করেছিল। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। লখনউ জোনের এডিজি সুজিত পাণ্ডে জানান, ঘটনাস্থলে কোনও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণটি ঘরোয়া প্রেসার কুকার বা গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে হতে পারে।’ অযোধ্যা সার্কেল অফিসার দেবেশ চতুর্বেদীও নিশ্চিত করেছেন যে, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি অবিলম্বে ঘটনাস্থলে আধিকারিকদের পৌঁছে উদ্ধারকাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আহতদের সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।