অযোধ্যায় আগত পর্যটকরা এখন পাওয়ার প্যারাগ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে আকাশ থেকে অযোধ্যার মঠ মন্দির দর্শন করতে পারবেন। অযোধ্যায় জাতীয় সড়কের ধারে বালু ঘাটে শুরু হয়েছে পাওয়ার প্যারাগ্লাইডিং। পাইলটের পাশে বসে আকাশ থেকে পাখির চোখে দেখা যাবে অযোধ্যা নগরী।
আরও পড়ুন: ‘পার্থই কিংপিন’ আদালতে অর্পিতার দাবি, প্রশ্ন শুনতেই যা ‘করলেন’ পার্থ! চমকে গেল সবাই
advertisement
সময়: বালু ঘাটে সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্যারাগ্লাইডিং উপভোগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সকাল ও সন্ধ্যার শিফটের জন্যও আলাদা আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সকালে প্যারাগ্লাইডিংয়ের খরচ ১০০ টাকা, সন্ধ্যায় ১৫০০ টাকা।
পর্যটকরা খুশি: দেশের অন্যান্য পর্যটন স্থান যেমন গোয়া, মুম্বই এবং উত্তরাখণ্ডে পাওয়ার প্যারাগ্লাইডিং উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা। একইভাবে, এখন শ্রীরামের শহর অযোধ্যায় আগত পর্যটকরা প্যারাগ্লাইডিং উপভোগ করতে পারবেন। এজন্য রামনগরীর বালুর ঘাটে পাওয়ার প্যারাগ্লাইডিং পরিষেবার উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার গৌরব দয়াল।
আরও পড়ুন: ১ দিনে ১ কেজি…! ম্যাজিকের মতো কমবে ওজন, ভ্যানিশ হবে পেটের চর্বি! এই সহজ কাজেই
অযোধ্যায় অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব প্রতিষ্ঠা: উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস-চেয়ারম্যান বিশাল সিং বলেন, ‘অযোধ্যায় আসা ভক্তদের অধিকাংশই তরুণ। তাঁদের জন্য আমরা অযোধ্যায় অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছি। এটা আমাদের সবার কাছে খুব আনন্দের মুহূর্ত। আগামী দিনে মোটর স্পোর্টস, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে আগত ভক্ত ও পর্যটকরা ধর্মপালনের পাশাপাশি বেড়ানোর আনন্দও উপভোগ করতে পারেন’।
প্যারাগ্লাইডিং উপভোগ করছেন পর্যটকরা: অযোধ্যায় ঘুরতে এসে প্যারাগ্লাইডিং করেন তমন্না। তিনি বলেন, ‘দারুণ লাগল। অসাধারণ সময় কেটেছে। প্রথমবার প্যারাগ্লাইডিং শুরু হল অযোধ্যায়। আমরা তার অংশ হতে পেরে আনন্দিত। আকাশ থেকে অযোধ্যার মঠ, মন্দির দেখাটা অন্যরকমের অনুভূতি’। অযোধ্যায় এলে একবার প্যারাগ্লাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়া প্রত্যেক দর্শনার্থীর উচিত বলে মনে করেন তিনি।