জানা গিয়েছে, ধনপুরে নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের কনভয়ে হামলার চেষ্টা হয়। পথেই থেমে যায় কনভয়। বহু লোকের সমাগম লক্ষ্য করা গিয়েছে সেখানে। আশেপাশের বিভিন্ন জিনিসে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বুঝে এরপর গাড়ি থেকে নেমে আসেন মানিক সরকার। তাঁকে কয়েকজনের দিকে এগিয়ে গিয়ে রাগ দেখাতেও দেখা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ত্রিপুরাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে BJP-র অস্ত্র 'পাচার'! গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি বিপ্লব দেবের
প্রসঙ্গত এক সময়ের বাম দুর্গ ত্রিপুরা এখন বিজেপির দখলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন বিপ্লব দেব। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ত্রিপুরায় সংগঠন সাজাতে ইতিমধ্যেই কোমর বেধে নেমেছে তৃণমূল। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে ভয়াবহ সংঘাত। আই প্যাকের সদস্য থেকে শুরু করে বাংলা থেকে যাওয়া তৃণমূল নেতারা বার বার আক্রান্ত হয়েছেন ত্রিপুরায়। বিপ্লব দেবের জমানায় ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়েও মুখ খুলেছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকার। তৃণমূলের প্রতি অন্তত এই ইস্য়ুতে সহানুভূতিশীল ছিলেন তিনি।
তৃণমূল প্রসঙ্গে মানিক সরকারের উপলব্ধি ছিল, ‘হয়তো আগেরবার ওরা ভালো ফল করতে পারেনি। কিন্তু তা বলে তৃণমূল এখানে কখনও বাধাপ্রাপ্ত হয়নি। ত্রিপুরায় বিজেপি এই কাণ্ডকারখানা করে ত্রিপুরার মানুষকেই অসম্মানিত করছে।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন ছিল, 'তৃণমূল এখানে সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে। এটা নতুন কোন বিষয় নয়। আগেও তৃণমূল ঘুরে ফিরে ত্রিপুরায় এসেছে। কোনও রাজনৈতিক দলের উদ্যোগকেই বাধা দেওয়া যায় না। এবার যে ঘটনা ঘটছে, তাতে আমি লজ্জিত বোধ করছিলাম। কারণ আমি ত্রিপুরায় বাস করি। এটা হতে পারি না।' তৃণমূলের উপর হামলার পরিপ্রক্ষিতে নিজের সহানুভূতি ব্যক্ত করার কয়েকদিনের মধ্যেই এবার নিজের জায়গাতেই আক্রান্ত হলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
