আরও পড়ুন: 'দেশবাসীর মধ্যে বন্টন করা হবে বিটকয়েন', এক ট্যুইটেই ধরা পড়ল মোদির ট্যুইটার হ্যাকড!
সত্যাগ্রহ শব্দ নিয়েই মূলত বিজেপি আক্রমণ করলেন রাহুল। বললেন, একদল মানুষ আছে সত্যাগ্রহে বিশ্বাসী, আরও একদল মানুষ আছে, যারা সত্ত্বা-গ্রহে বিশ্বাসী। তাঁদের ক্ষমতার প্রতি আগ্রহ বেশি। এই নিয়ে মহাত্মা গান্ধির প্রসঙ্গ টানেন রাহুল। বলেন, "মহাত্মা গান্ধি সন্ধান করেছিলেন সত্যের। সেই সত্যই ছিল সত্যাগ্রহের যাত্রা। নাথুরাম গডসে তাঁকে গুলি করে মেরেছিল। নাথুরাম ছিল হিন্দুত্ববাদী। তাই তিনি সত্ত্বা-গ্রহে বিশ্বাসী। হিন্দুত্ববাদীরা শুধু ক্ষমতার পিছনেই দৌড়তে চায়। তাঁরা সত্যের ধার ধারে না।"
advertisement
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বহু ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে দেশে, মেনে নিল মোদি সরকার!
এর পরে হিন্দুত্বের এক নতুন ভাবনাও প্রকাশ করেন রাহুল। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, "কে হিন্দু? যে মানুষটা অন্য সমস্ত ধর্মকে সমর্থন করে এবং কাউকে কোনওরকম ভয় দেখায় না। যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা মিথ্যে হিন্দুত্ত্বের কথা বলছেন। ভারত আসলে এক হিন্দুত্ববাদী শক্তি। যাঁরা ক্রমাগত মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এটা হিন্দুদের শাসনের রূপ নয়। আমরা এই হিন্দুত্ববাদীদের সরিয়ে হিন্দুরাজ তৈরি করতে চাই। " এই সভায় রাহুলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিরা। সামনেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন রয়েছে। সেখানে ধর্মীয় মেরুকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, এ কথা সাধারণ মানুষও জানেন। সেই কারণেই কী, হিন্দুত্বের একটা পাল্টা ন্যারেটিভ তৈরি করছেন রাহুল! কারণ, শেষ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ দখল করতে পারলেই ভবিষ্যতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে পারবে কংগ্রেস, না হলে লড়াইয়ে যাওয়া মুশকিল।