সনিয়া গান্ধি বলেন, “সংগঠনে পরিবর্তন এখন সময়ের প্রয়োজন। আমাদের কাজের ধরনও পরিবর্তন করতে হবে। আমি শিবিরে প্রকাশ্যে মতামত প্রকাশ করার জন্য পার্টিকর্মীদের আহ্বান জানাই, তবে শক্তিশালী দল এবং ঐক্যের বার্তা দিতে হবে দেশকে।” সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা সহ ৪০০ জনেরও বেশি দলীয় নেতারা রাজস্থানের উদয়পুরে আগামী কয়েকদিন ধরে চলা এই আলোচনায় অংশ নেবেন।
advertisement
আরও পড়ুন- দায়িত্ব নিয়েই মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের!
সনিয়া বলেন, “আমাদের সংগঠনকে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। দল আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে এবং এখন তা শোধ করার সময় এসেছে।” ক্ষমতাসীন বিজেপির তীব্র নিন্দা করে তিনি সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘুদের নিশানা করার অভিযোগও এনেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
“প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল ‘ন্যূনতম সরকার, সর্বোচ্চ শাসন’-এর কথা বলেন... কিন্তু আসলে এর অর্থ সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ। এর অর্থ হল ইতিহাস পুনর্লিখনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা,” বলেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া।
আরও পড়ুন- স্বস্তির খবর! দেশজুড়ে কমল সক্রিয় কোভিড-১৯ সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯ জন
“এর অর্থ হল মহাত্মা গান্ধির খুনিদের মহিমান্বিত করা এবং জওহরলাল নেহরুর মতো নেতাদের কাজকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা। এর অর্থ গণতন্ত্রকে দুর্বল করা, এর অর্থ হল বিভেদমূলক কৌশল এবং যখন তাঁর বার্তার স্পর্শ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখনই আমাদের বাকপটু প্রধানমন্ত্রী নীরব। এর অর্থ সমাজকে বিভক্ত করা এবং আমাদের প্রাচীন বহুত্ব ও ঐক্যকে দুর্বল করা,” বলেন সনিয়া।