আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী, তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা!
অমিত শাহ আরও লিখেছেন, “একটি আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল (IMCT) ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে অসম ও মেঘালয়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবে। এর আগে IMCT-এর একটি দল চলতি বছরের ২৬ মে থেকে ২৯ মে, 2022 পর্যন্ত অসমের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিল।”
advertisement
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর এবং ৩৫ টি জেলার মধ্যে ৩৩ টিতেই ৪৩ লাখের কাছাকাছি মানুষ বন্যা আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং ব্যাপক প্লাবিত এলাকায় খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী আকাশপথে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকদের স্বাস্থ্য বিভাগের দলগুলিকে প্রস্তুত রাখার এবং বন্যা দুর্গতদের জন্য স্থাপিত ত্রাণ শিবিরগুলিতে ডাক্তারদের প্রতিদিনের পরিদর্শন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুতর রোগীদের কাছাকাছি হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখারও কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- কয়লা পাচার মামলায় সাক্ষীকে ভয় দেখানোর অভিযোগ খোদ সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধেই!
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আধিকারিকদের অবশ্যই সমস্ত জেলা হাসপাতালে রাতের শিফটে উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রবীণ নাগরিক, মহিলা এবং শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বন্যা পরবর্তী রোগের মোকাবিলা নিশ্চিত করতে রাজ্যের নয়টি মেডিকেল কলেজের সহায়তায় সার্কেল-ভিত্তিক মেগা স্বাস্থ্য শিবিরের পরিকল্পনার জন্যও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ASDMA-এর একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে ৫,১৩৭ টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিধ্বংসী বন্যায়। প্রায় ১.৯০ লক্ষ মানুষ ৭৪৪ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ৪০৩ টি অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।