স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গান্ধি পরিবারের বাইরে কারা কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন দেখা যাক:
১৯৪৮-১৯৪৯: স্বাধীন ভারতে কংগ্রেস দলের প্রথম সভাপতি ছিলেন পট্টভী সীতারামাইয়া। পেশায় চিকিৎসক সীতারামাইয়া জয়পুর অধিবেশনে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন। ১৯৩০ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের মাসুলিপত্তনমের কাছে সমুদ্র উপকূলে নেতৃত্ব দিয়ে লবণ আইন ভঙ্গ করে এবং লবণ তৈরি করে তিনি গ্রেফতার হন।
advertisement
আরও পড়ুন- সময় দেন না তিন গান্ধিই, খোঁচা দিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা জয়বীর শেরগিলের
১৯৫০: হিন্দিকে ভারতের জাতীয় ভাষা করার জন্য অন্যতম প্রধান প্রচারক ছিলেন পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন। উর্দু এবং ফার্সি ভাষার দক্ষ পণ্ডিত ভারতে হিন্দু-মুসলিম সমস্যাটিকে ব্রিটিশ সরকারের দেশ শাসনের কৌশল বলেই মনে করতেন।
১৯৬০-১৯৬৩: অন্ধ্র প্রদেশের বিশিষ্ট নেতা নীলম সঞ্জীব রেড্ডি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। ১৯৩১ সালে কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৪-১৯৬৭: দলের ওয়েবসাইট অনুসারে, জওহরলাল নেহরুর মৃত্যু থেকে ১৯৬৯ সালে কংগ্রেস বিভক্ত হওয়া পর্যন্ত ভারতের ভাগ্য গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন কে কামরাজ। তাঁকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়।
১৯৬৮-১৯৬৯: পেশায় আইনজীবী সিদ্দাবনাল্লি নিজলিঙ্গপ্পা কর্ণাটককে এক করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন। কংগ্রেস বিভক্ত হলে, তিনি ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বাধীন উপদলের বিরুদ্ধে গঠিত সংগঠনের পক্ষে যান।
১৯৭০-১৯৭১: জগজীবন রাম বাবুজি বিশ্বাস করতেন দলিত নেতাদের কেবল সমাজ সংস্কারের জন্যই লড়াই করা উচিত নয়, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের দাবিও করা উচিত। মহাত্মা গান্ধি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আইন অমান্য আন্দোলন এবং সত্যাগ্রহে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিলে ২০ কোটি, অন্য বিধায়কদের নিয়ে এলে ২৫ কোটি! বিস্ফোরক অভিযোগ আপের
১৮৭২-১৯৭৪: শঙ্কর দয়াল শর্মা ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের করাচিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিষয়ক ইউনেস্কো সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭৫-১৯৭৭: ‘ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জন্য সুপরিচিত দেবকান্ত বড়ুয়া কট্টর ইন্দিরা অনুগত হলেও পরে কংগ্রেস বিভক্ত হলে ইন্দিরা বিরোধী দলেই যোগ দেন।
১৯৯২-১৯৯৬: ভারতের নবম প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও ভারতের অর্থনীতির উদারীকরণে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯৯৬-১৯৯৮: সীতারাম কেশরী ১৩ বছর বয়সে বিহারের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং পরে রাজ্যের যুব নেতাও হয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি এবং পিভি নরসিমা রাওয়ের সময়ে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দলের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে কংগ্রেস তার সর্বোচ্চ কার্যনির্বাহী সংস্থা, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছে আগামী ২৮ আগস্ট।