আমেরিকা-সহ গোটা বিশ্বে জনসনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় একের পর এক মামলা ৷ প্রায় ১২হাজার মামলাকারী অভিযোগ জানান সংস্থার বিরুদ্ধে ৷ সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সমস্ত গোপন তথ্য ফাঁস করতে বাধ্য হয় জনসন ৷ সেই তথ্যতেই উঠে আসে জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডারে মিশে রয়েছে অ্যাসবেস্টস ৷
১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৷ একাধিকবার পরীক্ষা করা হয় জনসনের ৷ প্রতিবারই পরীক্ষার পর জনসনের প্রডাক্টে মেলে বিষাক্ত খনিজ অ্যাসবেস্টস ৷ বেশ কিছুক্ষেত্রে মামলায় হেরে মামলাকারীদের মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতেও বাধ্য হয় জনসন ৷ অভিযোগ, জনসনের বেবি পাউডার ব্যবহারের কারণে জরায়ু-সহ অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে ৷ সংস্থার শীর্ষ কর্তা থেকে খনি ম্যানেজার, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, আইনজীবী প্রত্যেকেই বিষয়টি জানতেন ৷ কিন্তু তা স্বত্ত্বেও বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে কেন সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়নি ? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷
advertisement
যদিও রয়টার্সের এই রিপোর্টকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং একপেশে বলে ঘোষণা করে জনসন অ্যান্ড জনসন ৷ সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘মোটা টাকা পাওয়ার লোভে নথি বিকৃত করে আদালতকে বিভ্রান্ত করেছেন মামলাকারীরা ।’