প্রধান বিচারপতি এন ভি রমন, বিচারপতি এ এস বোপন্না এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দর সিং নন্দীগ্রাম নির্বাচন মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানিয়েছিলেন। মামলাটি শুনানির জন্য স্থায়ীভাবে সূচিবদ্ধ হয়নি। এদিকে আগামী ১৫ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য প্রাথমিক তালিকায় সূচিবদ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত রেজিস্ট্রারের দফতরকে জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি মামলা ১৫ তারিখের তালিকা থেকে যেন সরানো না হয়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করার পর শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা সেই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য কোনও আদালতে স্থানান্তরিত করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর আইনজীবীর আর্জির প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রারের দফতরের এই নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
advertisement
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-বিরোধিতা মানেই বহিষ্কার! রাজ্য BJP-র অন্দরে ঝড়, অশনিসংকেত দেখছেন অনেকেই
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী'! এবার বিস্ফোরক অভিযোগে সরব 'আদি' BJP নেতা
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি চলছে। আগামী ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে ফের শুনানি হওয়ার কথা। মামলাটি প্রথমে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠে। কিন্তু বিচারপতিকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে মমলা অন্যত্র সরানোর দাবিতে সরব হন মমতা। অবশেষে বিচারপতি চন্দ সেই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন। তবে মন্তব্য করেন, ‘এভাবে বিচারপতিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করা বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার চেষ্টা মাত্র।’ সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন তিনি। আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানতে চান, সেই জরিমানার টাকা জমা পড়েছে কি? জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যে আদালতে জরিমানার টাকা জমা দিয়েছেন মামলাকারী।