সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়েই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেজরি। কী বললেন? বললেন, দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত গোটা মামলাটাই নাকি ভুয়ো। কেজরিদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণই নাকি নেই সিবিআইয়ের হাতে। প্রসঙ্গত, গত মাসে এই দিল্লি আবদারি দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এখনও জেলেই বন্দি তিনি।
advertisement
মধ্য দিল্লির লোধি রোডে সিবিআইয়ের সদর দফতর থেকে নিজের বাড়ি পৌঁছে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বলেন, ‘‘সিবিআই আমাকে ৫৬টা প্রশ্ন করেছে। সব প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছি। সব ভুয়ো। গোটা মামলাটাই ভুয়ো। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই ওদের কাছে।’’
তাঁর দাবি, সততাই আপ-এর আদর্শ। তাঁরা মৃত্যু বরণ করবেন, অথচ, সততার প্রশ্নে এক ফোঁটা আপস করবেন না। ২০২০ সাল, ঠিক যে বছর থেকে দিল্লির নতুন আবগারি নীতি কার্যকর হয়, সেই দিন থেকে তা বাতিল হওয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু খুঁটিনাটি বিষয় অরবিন্দের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কেজরির দাবি, ‘‘এখন আমরা একটা জাতীয় রাজনৈতিক দল। তাই আম আদমি পার্টিকে বদনাম করতেই ওরা এইসব করছে।’’
আরও পড়ুন: এই নিয়ম না মানলে আপনার বাড়ি হয়ে যেতে পারে ভাড়াটের! কোর্ট কাছারি করেও কোনও লাভ হবে না
গত পরশু, অর্থাৎ, শুক্রবারই এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের সদর দফতরে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তবে পরে জানা যায়, অভিযুক্ত হিসাবে নয়, একজন সাক্ষী হিসাবেই তলব করা হয়েছে তাঁকে।
এদিন কেজরির সিবিআই হাজিরা ঘিরে উত্তপ্ত ছিল রাজধানী। বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আপ নেতা রাঘব চড্ডা ও সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়।