পরিকল্পনা করে নাশকতার জন্যই ঘটে কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনা ৷ বিহার পুলিশের হাতে ধৃত আইএসআই চরকে জেরায় উঠে এসেছে এমন তথ্য ৷
ISI চর সন্দেহে মোতিলাল পাশওয়ান নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। ধৃতের স্বীকারোক্তি, গত বছর নভেম্বরে কানপুরে পটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় রেল ট্র্যাকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মোতিলাল। যার ফলে ২০ নভেম্বর কানপুরের পুখরায়নে ইন্দোর–পাটনা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয় ৷ এর জন্য, দুবাই থেকে তাকে টাকা পাঠিয়েছিল ISI এজেন্ট শামসুল হুডি নামে এক ব্যক্তি। মোতিলালের সঙ্গে উমাশংকর পটেল ও মুকেশ যাদব নামের আরও দু’জন সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ।
advertisement
অপরাধমূলক কাজকর্মের কারণে পুলিশ আগে থেকেই ওই তিন জন ব্যক্তির সন্ধান করছিল ৷ অন্যদিকে, মোতিলালের গ্রেফতারির পর মহারাষ্ট্র ATS সূত্রে অন্য একটি তথ্য জানা গিয়েছে, যাতে মোতিলালের স্বীকারোক্তিকে আরও খানিকটা পোক্ত করল ৷ মহারাষ্ট্র ATS জানিয়েছে, সম্প্রতি বসন্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি দাবি করে যে এক ব্যক্তি তাকে মোটা টাকার বিনিময়ে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর প্রস্তাব দেয় ৷
উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বসন্ত কুমারের গ্রামেই ওই ব্যক্তি তাঁকে নাশকতা ঘটানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছিল ৷ অপারেশন সফল হলে তাঁকে মোট ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল ওই ব্যক্তি ৷ বসন্ত কুমারের থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর তার সঙ্গে আরও ৮ জনকে বারাণসী থেকে এক অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে রেল ট্র্যাকের পাত ও ট্র্যাকের চাবি খোলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল ৷ একইসঙ্গে কানপুর রেল দুর্ঘটনার মতো আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ কিন্তু বসন্ত কুমারের দাবি, এই কথা শুনে তাঁর অনুতাপ হয় এবং সে মুম্বইয়ে তাঁর কাকার কাছে চলে আসে ৷ মোতিলাল ও বসন্ত কুমারের স্বীকারোক্তির মধ্যে কতটা যোগ রয়েছে, সে সত্য জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
এই স্বীকারোক্তি পাক গুপ্তচর সংস্থার ভারত বিরোধী পদক্ষেপের প্রমাণ দিচ্ছে। তাই বিহার পুলিশের এই তদন্তের উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA। প্রয়োজনে NIA তদন্তভার গ্রহণ করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।