সোমবার কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব আরাবল্লীর খননকার্য সংক্রান্ত বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তার রায় জানিয়ে দিয়েছে৷ আমাদের সরকার সবুজ আরাবল্লীর কথা প্রচার করে৷ বর্তমানে আরাবল্লী পর্বত নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে৷’’
advertisement
তিনি জানান, দেশের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১.৪৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে আরাবল্লী পর্বত৷ যার মধ্যে মাত্র ০.১৯ শতাংশ খনির খনন কার্যের উপযুক্ত৷ ভূপেন্দ্র বলেন, ‘‘আরাবল্লী নিরাপদে আছে, সংরক্ষিত আছে৷ যাঁরা মিথ্যে কথা বলছেন, তাঁদের মিথ্যে খুব শীঘ্রই ফাঁস হবে৷’’
তবে, কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী এই যাবতীয় দাবির কড়া বিরোধিতা করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটকে৷ তাঁর দাবি, পুরনো তথ্য-পরিসংখ্যানের উপরে ভিত্তি করে এই খননকার্যের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ এর জেরে বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে দেশের রাজধানী সহ গোটা এনসিআর এলাকার পরিবেশের৷
CNN-News18-এর সঙ্গে কথা বলার সময় পাইলট দাবি করেন, বর্তমানে কোথায় কত উচ্চতায় রয়েছে আরাবল্লীর কোন অংশ, তা বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে যাচাই না করেই যদি খননকার্য শুরু করা হয়, তাহলে বলতে হবে কর্তৃপক্ষ পৃথিবীর প্রাচীনতম এই পর্বতমালার ধ্বংস করে দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন৷
পাইলট বলেন, ‘‘এই গাইডলাইন মেনে কাজ করতে দেওয়ার অর্থ পৃথিবীর প্রাচীনতম পর্বতমালাকে ধ্বংস করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া৷ ওটা পুরনো রিপোর্ট৷ যদি আরাবল্লী ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে গোটা NCR এলাকায় তার প্রভাব পড়বে৷ মানুষের ক্ষোভের জবাব দিতে হবে৷’’
পাইলটের অবস্থানকে সমর্থন করে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, ‘‘এটাই পরিস্থিতি হলে তার পরিবেশগত পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। যদি আরাবল্লীর উপরে এই নতুন আদেশ কার্যকর করা হয়, তাহলে এই সমগ্র অঞ্চল, বেশ কয়েকটি রাজ্য বা ভারতের অর্ধেকের পরিবেশগত ভারসাম্য ধ্বংস হয়ে যাবে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আরাবল্লী পর্বতমালা থর মরুভূমি থেকে আসা বালি থেকে দিল্লি, হরিয়ানা এবং এই সমগ্র অঞ্চলের কৃষিকে রক্ষা করে। এই ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরাবল্লী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি কেউ আরাবল্লীকে স্পর্শও করে, তবে তারা এই দেশ এবং এই অঞ্চলের শত্রু বলে বিবেচিত হবে৷’’
