ইডির দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মী, বাড়ির পরিচারক, রাঁধুনি, এমনকী কেষ্টর গা-হাত-পা টিপতে ডাকা বিজয় রজকের নামে অ্যাকাউন্ট খুলেও লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তবে বিজয় রজক এ সম্পর্কে কিছু জানেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইডির দাবি, বাড়ির পরিচারকের নামে কেনা হয়েছিল ৭.৭১ কোটি টাকার জমি।
advertisement
আরও পড়ুন: তিহাড়ে অবশেষে দেখা, বাবাকে সুকন্যার একটাই প্রশ্ন! রুবাইকে দেখে হাউ হাউ করে কাঁদলেন অনুব্রত
এককালে কাজ করতেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক হিসেবে। কেষ্টর বাড়ির হেঁশেল সামলানোর দায়িত্ব ছিল যাঁর কাঁধে, তাঁর ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হিসেব পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুকন্যা। ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাবার মতো এবার জেলেই জীবন সুকন্যার! আদালতে অনুব্রতকে নিয়ে যা বললেন, তাজ্জব সকলেই
ইডি জানতে পেরেছে যে, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের যে বড় বড় লাভ হত, সেগুলির বিষয়ে সমস্ত কিছুই জানতেন মণীশ কোঠারি। তিনিই অনুব্রতকে বুদ্ধি দিতেন এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোন কোন খাতে লগ্নি করলে কালো টাকা সাদা করা যাবে। সেই খাত হিসেবেই একাধিক সময়ে অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক, রাঁধুনি, এমনকী মালিশ করতে আসা বিজয় রজকের অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করা হয়েছে।