শুধুই কী খাওয়া দাওয়া? থাকার ব্যবস্থার কথাও শুনে নিন। আপাতত, দিল্লিতে ইডির সদর দফতরের একটি ঘরেই অনুব্রতর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বীরভূমের একসময়ের এই দাপুটে নেতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সিঙ্গল রুম। ঘরে রয়েছে একটি ছোট খাট, এসি এবং ফ্যান। ঘরের সঙ্গেই রয়েছে শৌচালয়। এমনকি, ঘর লাগোয়া একটি কেবিনও রয়েছে। সেই কেবিনেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করছেন তিন আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে বাংলা জানা একজন দোভাষী ব্যাঙ্ককর্মীও রয়েছেন। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১১ দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত, মেয়ে সুকন্যা-সহ ১২ জনকে তলব করার তোড়জোড় শুরু
বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূলনেতার জন্য প্রত্যেকদিন দুপুরে রান্না হচ্ছে মাছ, ভাত, ডাল, আলু পোস্ত। এমনকি, শুক্রবার কোর্টে হাজিরার আগেও ভাত, ডাল আলু পোস্ত, মাছের ঝোল খেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সকালের খাবারে ছিল টোস্ট এবং চা।
সূত্রের খবর, ইডি-র নিজস্ব ক্যান্টিনে বাঙালি খাবার পাওয়া যায় না। যদিও কেষ্ট-র যাতে খাবারের কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে বাইরে থেকে খাবারের ব্যবস্থা করছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির তিন দিনের হেফাজত শেষ হওয়ার আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুব্রত ইডি দফতরে বাঙালি খাবার খেতে চান। মেনুতে ছিল ভাত, মাছ, ডাল, তরকারি, সুগার ফ্রি সন্দেশ। সন্দেশ মিষ্টি তাঁর বড় প্ৰিয়। তাই ইডি দফতরে মিষ্টি সন্দেশ খাওয়ার আবদার করেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর সেই আবদার অবশ্য রেখেছেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: 'হিন্দি জানেন?' প্রশ্ন করলেন বিচারক, অনুব্রত মণ্ডল উত্তর দিলেন ইশারায়
বোলপুর সহ আশপাশের একাধিক জায়গায় অনুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা জমা পড়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। ধাপে ধাপে জমা পড়েছিল সেই টাকা। ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে ওই টাকা জমা হয় বলে দাবি ইডির। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকা এফডি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে রয়েছে। ভুয়ো একাধিক কোম্পানির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের। কীভাবে জমা করা হত টাকা? ইডি সূত্রে খবর, বাড়িতে ডেকে পরিচিতর মাধ্যমে জমা হত টাকা। প্রাক্তন এক ব্যাঙ্ক কর্মীকেও ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কোথা থেকে এলো এই টাকা? কোটি কোটি টাকার উৎস কী? এখনও জানাতে পারেনি ইডি।
রাজীব চক্রবর্তী