সিআইডির হাতে ধৃত কানহাই কুমারকে জেরা করে বাগুইআটি জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত কানহাইকে জেরা করে জানা গিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত দুটি গাড়ির মধ্যে দ্বিতীয় গাড়ি মিনাখাঁ কাছে খারাপ হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। তখনই প্রথম গাড়িতে চলে আসে কানহাই সহ বাকি অভিযুক্তরা। সিআইডি সূত্রে খবর, দ্বিতীয় যে গাড়িটি কানহাই চালাচ্ছিল সেটি মিনাখাঁ কাছে এসে খারাপ হয়ে যায়। এরপর প্রথম যে লাল গাড়িতে যেখানে সতেন্দ্র চৌধুরী এবং বাকি দুই অপহৃত ছাত্র ছিল, সেই গাড়িতে চলে আসে দ্বিতীয় গাড়ি থেকে নেমে চালক কানহাই ও বাকি অভিযুক্তরা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ডিসেম্বর থেকে সরকার চালাতে দেব না', তৃণমূলকে বড় চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর
আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য ভিডিও করে সহপাঠী ছাত্রী, পোস্ট করে পুরুষ বন্ধু!
জেরায় কানহাই জানায়, গাড়িতে বেশি লোক হওয়ায় জায়গা হচ্ছিল না। তখন দুই অপহৃত ছাত্রকে কোলে বসায় অভিযুক্তরা। তখনই প্রথম লাল গাড়িটির চালকের আসনে বসে কানহাই। কানহাইয়ের আগে সত্যেন্দ্র চৌধুরী প্রথম লাল গাড়িটি চালাচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় গাড়ি খারাপ হওয়াতে কানহাই চলে আসে প্রথম গাড়িতে। এরপর কানহাই প্রথম গাড়িটি চালাতে শুরু করে। কানাইয়ের সামনে খুন করা হয় দুই অপহৃত ছাত্রকে। এরপর দুটি আলাদা জায়গায় খালের জলে মৃত দেহ ফেলে দেয়।
ধৃত কানহাই কুমারকে সোমবার নিয়ে আসা হবে ভবানী ভবনে। সিআইডি সূত্রে খবর,ধৃত কানহাই কুমার বাগুইআটি খুনে মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ভাড়াটে খুনিদের জোগাড় করে ছিল কানহাই কুমার। বিহারের বাসিন্দা এই কানহাইয়ের সঙ্গে সত্যেন্দ্রর দেশের বাড়ি থেকে পরিচয়। কানহাই চিনার পার্কে থাকছিল বর্তমানে। বিভিন্ন হোটেলে অভিযুক্তদের থাকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিল কানহাই কুমার, সিআইডি সূত্রে খবর এমনটাই।
খুনের পর কানহাই কুমার দিল্লি পালিয়ে যায়। সেখানে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে ও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি গ্রেফতার করে। দিল্লিতে আদালতে পেশ করে তিন দিনের ট্রানসিট রিম্যান্ডে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। তাকে এনে সতেন্দ্র চৌধুরী সঙ্গে মুখোমুখি জেরা করা হবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।