নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর প্রাক মুহূর্তেই মোদি ঘোষণা করেন, ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির বিরাট গ্রানাইটের মূর্তি বসানো হবে। যতদিন না তা তৈরি হয়, ততদিন পর্যন্ত সেখানে থাকবে একটি ‘হলোগ্রাম স্ট্যাচু’। গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে হলোগ্রাম স্ট্যাচুর উদ্বোধনও করেন মোদি। কথা ছিল ১৫ আগস্টের মধ্যে গ্রানাইটের মূর্তটির উদ্বোধন হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মাঝে হলোগ্রামেরও খোঁজ মিলছিল না। যা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। তবে যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আজই উন্মোচন করা হল নেতাজির গ্রানাইট মূর্তির।
advertisement
আরও পড়ুন: দাসত্বের চিহ্ন থেকে কর্তব্যের পথে, কর্তব্য পথের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বললেন মোদি
ভারত সরকারের এহেন পদক্ষেপের অত্যন্ত 'প্রতীকী গুরুত্ব' রয়েছে বলেই মনে করছেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে নেতাজি কন্যা বলেন, "নেতাজির মূর্তি কিং পঞ্চম জর্জ-এর মূর্তির স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত প্রতীকী মূল্যের। যে স্থানে এক ঔপনিবেশিক শক্তির প্রতীক অবস্থান করত সেই স্থানে ভারত একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশনেতাকে স্থাপন করেছে যা প্রতীকী তাৎপর্যের দাবি রাখে। " এমনটাই মনে করছেন অনিতা।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত পথ আজ নতুন করে নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফ। এই বিষয়ে এর আগে অনিতা বলেন, ‘২৯ অগস্ট আমাকে খবর দেওয়া হয়েছিল যে একটা আমন্ত্রণ আসতে পারে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রক সরকারি আমন্ত্রণপত্র পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অনুষ্ঠানসূচি দেখলাম না। অবশ্য কিছু নাও হতে পারে। আমি যতটুকু জানি, প্রধানমন্ত্রী খুব অল্প ক্ষণের জন্য উপস্থিত থাকবেন। সেখানে গেলে অনেক দূর থেকে তাঁকে শুধু দেখতে পাব। কয়েকশো দর্শকের মাঝে আমি বসে থাকি বা না থাকি, তাতে কারও কিছু যায় আসবে না।’
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় ফাঁপড়ে প্রেসিডেন্সি জেল সুপার! নজিরবিহীন পদক্ষেপ হাইকোর্টের
অনিতা আরও বলেন, ‘আমি এই বিষয়টা নিয়ে খুশি নই। সমস্ত আয়োজনটাই অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। তবে মূর্তি উন্মোচনে আমি অবশ্যই খুশি। তবে এই মূর্তি উন্মোচনের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর তারিখটা বেছে নেওয়ার বিষয়টা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ নেতাজির সঙ্গে এই দিনটির এই তারিখের কোনও যোগ নেই। আমরা মোটামুটি আশা করেছিলাম, ২১ অক্টোবর অর্থাৎ আজাদ হিন্দ গঠনের দিন বা ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্মবার্ষিকীতে এই মূর্তি উন্মোচিত হবে।’ তবে এদিন মূর্তি উন্মোচনের পরে আবেগে ভেসে যান অনিতা। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বারবারই উঠে আসে স্থান মাহাত্ম্য।