তার আগে নেটওয়ার্ক ১৮-এর কাছে এক অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন আম্বানি পরিবারের এই তরুণ তুর্কি, অনন্তের কথায় ধরা পড়ল জীবনের নানা দিক।
সবার প্রথমে যখন বাণিজ্যের জগতে তাঁর অনুপ্রেরণার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, অনন্ত দ্বিধাহীন ভাবে জানিয়ে রাখেন যে তাঁর পরিবারই তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। “আমি আমার পরিবার থেকেই অনুপ্রণা পাই, তবে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার উৎস হলেন আমার ঠাকুরদা আর বাবা”, বলছেন অনন্ত।
সঙ্গে যোগ করতে ভোলেননি, “আমার বাবা মুকেশ আম্বানি ধীরুভাই আম্বানির স্বপ্ন সফল করে দেখিয়েছেন। বিশ্বের বৃহত্তম রিফাইনারি এই জামনগরেই প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। আমার মা, নীতা আম্বানি, এই জামনগরেই রিলায়েন্স কর্মীদের জন্য গড়ে তুলেছেন আস্ত এক শহর। এই রিলায়েন্স গ্রিন সিটি আমার মায়ের হৃদয়ের বড় কাছের আসলে, আমার ঠাকুর্দার জীবনের মন্ত্রই ছিল লোকসেবা। ব্যবসা যা-ই হোক, বাবাও সব সময়ে লোকের উপকারের জন্যই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেন। আমরাও যখন নতুন কোনও ব্যবসার কথা ভাবি, বাবার দেখানো পথেই চলি। বাবার স্বপ্ন, দৃষ্টিভঙ্গী আমরা সুদূর প্রসারিত করতে বদ্ধপরিকর। প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শেখার লক্ষ্যে কাজ করি।”
একই সঙ্গে রিলায়েন্স চিড়িয়াখানা নিয়েও মুখ খুলেছেন অনন্ত। “আসলে, আমার পুরো পরিবারই জীবজন্তু খুব ভালবাসে। ইশা আর আকাশও এই চিড়িয়াখানার জন্য যথেষ্ট অবদান রেখেছে। বলছিলাম না আমার পরিবারই আমার অনুপ্রেরণা, সেই পশুপ্রেমের লক্ষ্যেই এখানে হাতিদের জন্য একটা রেসকিউ সেন্টার খোলা হয়েছে। এখানে ২০০টিরও বেশি হাতিকে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিনব প্রজাতির জীবজন্তুদের জন্যও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে আমাদের। এই চিড়িয়াখানার দেখভালের জন্য আমাদের ৩০০০ কর্মীর এক দল রয়েছে। গুজরাত সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখানে আমরা সোলার এনার্জি প্রয়োগ করেছি। যদিও এখনও কাজ অনেকটাই বাকি, কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রকল্পের জন্য আমরা সম্পূর্ণ ভাবে নন-প্রফিট অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করছি। রিফাইনারির নেট কার্বন একেবারে শূন্যে নিয়ে আসার কাজও চলছে। সব মিলিয়ে ওয়াইল্ডলাইফ ল্যাবের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা চলছে”, বলেছেন তিনি।