দীক্ষার পর থেকে জৈন সন্ন্যাসীরা স্নান করেন না, তারপরেও এত তরতাজা থাকেন কী করে? জানুন সেই রহস্য
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Jain Sadhu-Sadhvi: অনেকেই জানেন না, জৈন সন্ন্যাসী এবং সন্ন্যাসিনীরা দীক্ষা নেওয়ার পর থেকে আর কখনও স্নান করেন না। তাঁরা মনে করেন, স্নান করলে অনুজীবের জীবন সংশয় হতে পারে। এই কারণে তাঁরা মুখেও কাপড় বেঁধে রাখেন। যাতে মুখ দিয়ে কোনও ছোট প্রাণীও শরীরে প্রবেশ করতে না পারে।
জৈন ধর্মে দুই ধরনের সম্প্রদায় রয়েছে। শ্বেতাম্বর এবং দিগম্বর। দুই সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরাই দীক্ষা গ্রহণের পর কঠোর জীবনযাপন করেন। তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়মের নিগড়ে বাঁধা। আচরণ সংযত। বিলাসি জীবনযাপন তো দূরের কথা, তাঁদের নিজস্ব কোনও সম্পদও থাকে না। শ্বেতাম্বর সাধু এবং সন্ন্যাসীরা শুধু একটি মাত্র পাতলা সুতির কাপড় পরেন।
advertisement
অন্য দিকে, দিগম্বর সাধুরা কোনও পোশাক পরেন না। তবে জৈন সম্প্রদায়ের সাধ্বীরা সাদা কাপড় শাড়ির মতো করে পরেন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা এটাই তাঁদের পোশাক। প্রচণ্ড তুষারপাতের মধ্যেও দিগম্বর সাধুরা কোনওরকম পোশাক ছাড়াই ঘোরাফেরা করেন। তবে হ্যাঁ, শ্বেতাম্বর সাধু এবং সাধ্বীরা নিজেদের কাছে যে ১৪টি জিনিস রাখেন তার মধ্যে একটি হল কম্বল, যা খুব পাতলা, ঘুমানোর সময় এটা গায়ে দেন তাঁরা।
advertisement
advertisement
তবে অনেকেই জানেন না, জৈন সন্ন্যাসী এবং সন্ন্যাসিনীরা দীক্ষা নেওয়ার পর থেকে আর কখনও স্নান করেন না। তাঁরা মনে করেন, স্নান করলে অনুজীবের জীবন সংশয় হতে পারে। এই কারণে তাঁরা মুখেও কাপড় বেঁধে রাখেন। যাতে মুখ দিয়ে কোনও ছোট প্রাণীও শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। বলা হয়ে থাকে, স্নান প্রধানত দুই প্রকার – বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ।
advertisement
সাধারণ মানুষ জলে স্নান করেন। কিন্তু জৈন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীরা অভ্যন্তরীণ স্নান করেন। অর্থাৎ ধ্যানে বসে মন ও চিন্তার শুদ্ধি ঘটান। তাঁদের স্নান করা মানে আবেগ শুদ্ধ করা। সারা জীবন এটা মেনে চলেন তাঁরা। তবে সাধু এবং সন্ন্যাসিনীরা কয়েক দিন ছাড়া ছাড়া ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নেন। জৈন ধর্মে এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই জন্য সবসময় তরতাজা এবং শুদ্ধ দেখায়।