আরও পড়ুনঃ ‘আমরা পরিবারের সকলে খুব পশু-পাখি ভালবাসি’, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে Network 18-কে বললেন অনন্ত আম্বানি
তারই প্রাক্কালে নিজের পশুপ্রেমের অনুপ্রেরণার বিষয়ে মুখ খুললেন আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি। বরাবরই সেই ছোটবেলা থেকে পশুদের প্রতি গভীর ভালবাসা রয়েছে তাঁর। আর সেই সময় থেকেই পশু-প্রাণী কল্যাণের দিকে ছিল অনন্তের তীব্র উৎসাহ। আর যার ফলে এখন তিনি পশু উদ্ধার, তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া, পুনর্বাসন এবং সংরক্ষণের কাজে যুক্ত। এই প্রসঙ্গেই CNN-News18-এর আনন্দ নরসিংহনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই, ‘বনতারা’(Vantara) নামে বিশ্বের সবথেকে বড় পশু উদ্ধার এবং পুনর্বাসন কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর।
advertisement
ওই সাক্ষাৎকারে বন্যপ্রাণের প্রতি তাঁর বাবার গভীর ভালবাসার কথা উঠে এসেছে। তাঁদের কম বয়সে তাঁরা বাবা মুকেশ আম্বানির জঙ্গল সাফারির প্রতি উৎসাহ এবং উদ্যম চাক্ষুষ করেছিলেন। আর এটাই অনন্তকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। যার জন্য আজ তিনি এই ধরনের প্রকল্পে এবং পশুদের কল্যাণে কাজ করতে প্রবল উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
অনন্ত বলেন, “নিজের শৈশবে আমি এটা করতাম। আর আমার বাবাও বড় বড় বন্যপ্রাণ প্রেমীদের মধ্যে অন্যতম। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, যখন আমরা ছোট ছিলাম, আমার মনে হয় প্রায় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আফ্রিকা, রণথম্ভোর কিংবা কানহা, বান্ধবগড় ও কাজিরাঙ্গার মতো জঙ্গল ছাড়া আর কোথাও পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাইনি। আসলে আমার বাবা শুধুমাত্র জঙ্গলেই নিয়ে যেতেন ছুটি কাটানোর জন্য। তাই আমার মনে হয়, তাঁরা আমাকে এই কাজে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আর সত্যি বলতে কী, গৃহপালিত পশুদের জন্য গোটা দেশে প্রচুর মানুষ ভাল ভাল কাজ করছে।”
জামনগরে যেখানে রিলায়েন্সের রিফাইনারি বা তেল শোধনাগার এবং হাউজিং কমপ্লেক্স রয়েছে, সেখানে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে ‘বনতারা’। আর আজ সেই বনতারাই ৫০-৬০ ধরনের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণীদের উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণীরা যাতে প্রাকৃতিক আবাসস্থলের কাছাকাছি থাকতে পারে, তার জন্য এই ধরনের সুবিধা তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে প্রায় ২০০টিরও বেশি হাতি এবং কয়েক হাজার অন্যান্য পশু, সরীসৃপ ও পাখিদের নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গন্ডার, লেপার্ড এবং কুমিরের মতো প্রাণীদের পুনর্বাসন-সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বনতারা।