অনন্ত আম্বানির কথায়, বনতারার মাধ্যমে তিনি সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চান৷ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশাল এই বনতারা প্রকল্প গড়ে তুলেছেন অনন্ত আম্বানি৷ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে৷
আরও পড়ুন: বনতারা-র প্রশংসায় সচিন, ‘অনন্ত আম্বানির এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য’
গুজরাতের জামনগর শোধনাগারের ভিতরেই প্রায় তিন হাজার একর জমির উপরে বিস্তৃত এই বনতারা প্রকল্প৷ আহত, অত্যাচারের শিকার হওয়া অথবা লুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নিরাপদ ঠিকানা বনতারা এখন একটি অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে৷ প্রাকৃতিক পরিবেশেই এখানকার আবাসিক প্রাণীদের সুস্থ করে তোলা বনতারা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য৷
advertisement
বনতারা প্রকল্পের সূচনা করার সময়ই অনন্ত আম্বানি জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁর এই উদ্দেশ্যে প্রথম থেকে পাশে ছিলেন তাঁর বাবা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং এমডি মুকেশ আম্বানি এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি৷
অনন্ত আম্বানির কথায়, ‘আমার মনে হয় আমার বাবা নিজেই বন্য প্রাণীদের প্রতি সবথেকে বেশি টান অনুভব করেন৷ ছোট থেকে যখনই আমরা ছুটি কাটাতে যেতাম, অন্তত ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাবা আমাদের নিয়ে হয় আফ্রিকার জঙ্গল নয়তো কানহা, বান্ধবগড় অথবা কাজিরঙ্গার জঙ্গলে নিয়ে যেতেন৷ ফলে সেখান থেকেই আমরা বন্য প্রাণীদের প্রতি টান অনুভব করতে শুরু করি৷ আর আমার মনে হয় গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য দেশজুড়েই অনেকে ভাল কাজ করছেন৷’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে হাতিটিকে প্রথম উদ্ধার করেছিলাম, সেই গৌরিকে উদ্ধার করেছিলেন আমার মা৷ এখন আমাদের গোটা পরিবারের সবথেকে প্রিয় হয়ে উঠেছে গৌরী৷ আমার ভাইয়ের ছেলে পৃথ্বীও জামনগর ছাড়া কোথাও ছুটি কাটাতে চায় না৷ এখন আমাদের গোটা পরিবারই ছুটি পেলে জামনগরেই আসে৷’
অনন্ত আম্বানি নিজের উদাহরণ দিয়েও বলেন, ‘আমি নিজের মতো করে শারীরিক অনেক সমস্যাকে জয় করেছি৷ আমার মনে হয় তার পিছনেও এই প্রাণীদের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ কাজ করেছে৷ তার থেকেও বড় কথা, আমার মনে হয় এ ভাবে আমরাও সমাজের প্রতি কিছু অবদান রাখতে পেরেছি৷ রাধিকাও এই প্রকল্পের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে পড়েছে৷ আমার বাবা-মা এবং ভাই বোন আকাশ এবং ইশার আশীর্বাদ এবং ভালবাসায় আজ বনতারা যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটা আমার স্বপ্নের ৮ থেকে ১০ শতাংশ মাত্র৷’